মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

নোবিপ্রবি ভিসি-প্রো ভিসি-ট্রেজারারের খোঁজ নেই 

প্রকাশনার সময়: ১০ আগস্ট ২০২৪, ১৪:০৪

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের খোঁজ মিলছে না। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহম্মদ দিদার-উল-আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল বাকি, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর এবং রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন।

জানা যায়, সরকার পতনের পর ৭ আগস্ট সব ধরনের অফিস-আদালত এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অফিস খুললেও অফিস করেননি নোবিপ্রবির প্রশাসনিক এ কর্মকর্তারা। উপাচার্যের দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় সরকার পতনের পর থেকেই দপ্তরের কারও সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই। উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী শাকিল আহমেদ জানান, কয়েকদিন থেকেই স্যারের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই৷ স্যার কোথায় আছেন এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে তিনি সক্ষম নয় বলে জানান।

উপ-উপাচার্যের অফিস সহায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কয়েকদিন হলো স্যার অফিসে আসছেন না। এছাড়া স্যারের অবস্থান সম্পর্কেও আমি জানি না। কোষাধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সহকারী ইয়াছিন আরাফাত জানান গতকাল থেকে স্যারের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই। স্যার হয়তো ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছে তবে যতদূর জানি এখন অফিসিয়াল কোনো সিডিউল নেই। রেজিস্ট্রার অফিসে যোগাযোগ করেও জানা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার গত কয়েকদিন অফিসে আসে নি।

এছাড়া ৭ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে নোবিপ্রবির সমন্বয়করা ওই কর্মকর্তারাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের পদত্যাগের ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়। বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রক্টর এবং হল প্রভোস্টসহ নয়জন পদত্যাগ করলেও উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং রেজিস্ট্রারের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে উপাচার্যসহ কর্মকর্তারা পদত্যাগ না করায় গতকাল রাত ১০টায় তাদের দপ্তরে তালা দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। আগামীকাল ৪টার মধ্যে পদত্যাগ না করলে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় সমন্বয়করা।

এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য উপরোক্ত চার কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। মোবাইলফোনে কল এবং বার্তা পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ