জামালপুর জেলা কারাগারে বন্দীরা মুক্তির দাবিতে বিদ্রোহ করলে গোলাগুলি ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৬জন বন্দি নিহত হয়েছে। জেলারসহ ৫ জন কারারক্ষী আহত হয়েছে। এ ছাড়াও ১৩ জন বন্দী আহত হয়েছে।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুর ১টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার আবু ফাতাহ।
আহতরা জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। কয়েদিদের সবাইকে নিজ নিজ সেলে ঢুকানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন- আরমান, রায়হান, শ্যামল, ফজলে রাব্বি বাবু, জসিম, রাহাত। তারা জামালপুর সদর উপজেলার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় জেলারসহ আহত হয়ে পাঁচজন কারারক্ষী চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা হলেন– জেলার আবু ফাতাহ, কারারক্ষী-রোকনুজ্জামান, সাদেক আলী ও জাহিদুল ইসলাম, ইউসুফ আলী। তাদের মধ্যে রোকনুজ্জামান ও ইউসুফ আলী ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জেলার আবু ফাতাহ বলেন- গতকাল দুপুর ২টার আগে কারাগারের ভেতরে বন্দীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ ফেরানোর সময় বন্দীরা কারাগার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি করে কারারক্ষীরা। পরে বিক্ষুব্ধ বন্দীরা কারাগারের ভেতরে দুইটি ভবন, জেলারের কক্ষ ও প্রধান গেইটের ভেতরে গেইট ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। এসময় বন্দীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে ১৩ কারারক্ষী। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনে এবং রাতে কারারক্ষীদের ফেরত দেয় বন্দীরা। ভোর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী।
নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষ ও দেয়ালে উঠে পালানোর সময় পড়ে গিয়ে বন্দীরা মারা গেছে বলে ধারণা করছেন জেলার আবু ফাতাহ।
জামালপুরের এই কারাগারে বন্দী রয়েছে ৬৬৯ জন। এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত আসামি ১০০ জন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ