ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

সাবেক চেয়ারম্যানের গুলিতে নিহত ৩, পরে তাকেও পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশনার সময়: ০৬ আগস্ট ২০২৪, ১৮:৫৭

সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বিক্ষুব্ধ জনতা কুপিয়ে প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ জাকির হোসেনকে হত্যা করেছে। এর আগে জাকিরের ছোড়া গুলিতে তিনজন নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়।

সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল পৌনে ৫টা থেকে রাত পৌনে ৮টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।

নিহত শেখ জাকির হোসেন (৫৩) উপজেলার নাকনা গ্রামের মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে। তিনি আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও প্রতাপনগর ইউনিয়নের দুই বারের নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান।

গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন- আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া গ্রামের ওয়ারেজ আলী মোড়লের ছেলে হাফেজ আনাজ বিল্লাহ (২১) ও একই ইউনিয়নের কল্যানপুর গ্রামের নুর হাকিম ঘোরামীর ছেলে আদম আলী ও হিজলিয়া গ্রামের ছাত্তার সরদারের ছেলে আলমগীর হোসেন (১৬)। আহত কয়েকজনকে সাতক্ষীরা সদর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রতাপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আবু দাউদ ঢালী বলেন, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কয়েকশ’ লোক মিছিল নিয়ে নাকনা গ্রামের জাকির চেয়ারম্যানের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার বাড়িতে ইট পাটকেল ছোড়ে। একপর্যায় বিক্ষুদ্ধ জনতা জাকিরের বাড়ির গেট ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে তিনি বাড়ির দোতালা থেকে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১০/১২ জন আহত হয়। এসময় ক্ষুদ্ধ জনতা তার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে।

এদিকে, আহত চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে হাফেজ আনাজ বিল্লাহ, আদম আলী ও আলমগীর মারা যায়। পরে তাদের মরদেহ গ্রামে ফিরিয়ে আনলে বিক্ষুদ্ধ জনতা জাকিরের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একপর্যায় রাত পৌনে ৮টার দিকে তারা জাকিরের বাড়িতে ঢুকে তাকে কুপিয়ে মেরে ফেলে। এসময় বাড়িতে থাকা তার স্ত্রী ও মেয়েদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়।

চেয়ারম্যান দাউদ ঢালী আরও বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারলাম এঘটনায় জাকিরের সাথে থাকা তার আরো চার সহযোগীও মারা গেছে। তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নাকনা গ্রামের আব্দুস সামাদ বলেন, জাকিরের সাথে থাকা তার তিন সহযোগী নাকনা গ্রামের মৃত শেখ সুজাত আলীর ছেলে শেখ জাহাঙ্গির, সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহিন আলম ও আজুয়ারের ছেলে সজিবসহ আরো চারজন বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এসব মৃত্যুর খবর এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এবিষয় জানতে আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিশ্বজিত অধিকারির মোবাইলে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ