কোটা আন্দোলন ও চলমান কারফিউয়ের কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগে প্রতিদিন আয় কমেছে প্রায় ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। গত ১৯ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ১০ দিনে যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন বন্ধ থাকায় মোট আয় কমেছে প্রায় ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় আয় কমে যাওয়ার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগ সূত্র জানায়, পাকশী রেল বিভাগের আওতাধীন ১১৪টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। এর মধ্যে আন্তঃনগর ৫৬টি, মেইল ও লোকাল ট্রেন ৫৮টি। এছাড়া মালবাহী ও তেলবাহী ট্রেন চলাচল করে।
বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়,গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে পাকশী রেল বিভাগের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাকশী রেল বিভাগে প্রতিদিন যাত্রী ও মালবাহী ট্রেনে গড়ে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি ৩০ লাখ টাকা আয় হয়। ১৯ জুলাই রাত থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা আয় কমেছে। গত সোমবার (২২ জুলাই) থেকে শুধুমাত্র তৈলবাহী ট্রেন পশ্চিমাঞ্চলে চলাচল করছে।
পাকশী রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (দায়িত্বরত) এ কে এম নূরুল আলম জানান, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় পাকশী বিভাগে রেলের আয় কমেছে। তবে পাকশী রেলওয়ে বিভাগে প্রতিদিনের আয় সঠিকভাবে নিরূপণ করা যায় না। এছাড়া অফিস বন্ধ থাকায় আয়ের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করা যাচ্ছে না। অফিস চালু হলে এ বিষয়ে সঠিক হিসাব জানানো যাবে।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ জানান, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে পাকশী রেলের প্রতিদিন এক কোটি ২৫ লাখ টাকার মতো আয় কমেছে। ১৯ জুলাই রাত থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গত সোমবার( ২২ জুলাই) থেকে পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ নিরাপত্তায় তেলবাহী ট্রেন চলাচল করছে বলে জানান তিনি।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ