ঢাকা, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পুলিশের রাবার বুলেটে অন্ধ হওয়ার শঙ্কায় খায়রুল

প্রকাশনার সময়: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১৯:৪১

বিয়ে হয়েছে দুই মাস আগে। অভিমান করে স্ত্রী বাপের বাড়ি চলে যান। পরে অভিমান ভেঙে ১৮ জুলাই বিকেলে স্ত্রী লেগুনায় করে স্বামীর বাড়িতে আসার জন্য রওনা হন। তবে তার কাছে নেই ভাড়া। খবর পেয়ে স্ত্রীকে এগিয়ে আনতে যান স্বামী খায়রুল। তবে রাস্তায় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে তার বাম চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হন।

টাঙ্গাইলের মধুপুর বাসস্ট্যান্ডের আনারস চত্বর এলাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ভাঙচুরের সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে এ ঘটনা ঘটে।

পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় খায়রুলকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে পাঠানো হয় ময়মনসিংহে। সেখানে দুদিন থাকার পর পাঠানো হয় ঢাকা চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে। গত ২১ জুলাই ভর্তি করে ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদের তত্ত্বাবধানে খায়রুলের বাম চোখে অস্ত্রপচার করা হয়। আগামী সোমবার (২৯ জুলাই) সেলাই খোলার কথা রয়েছে। এরপরেই জানা বোঝা যাবে চোখ সচল না অচল। এ ছাড়া তার ডান চোখেও আঘাতের ছাপ স্পষ্ট।

খায়রুল মধুপুর উপজেলার মির্জাবাড়ী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের দিনমজুর সায়েদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।

খায়রুলের সঙ্গে কথা হলে জানান, কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে ভাঙচুরের সময় পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশী অবসরপ্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তার দেয়া ১০ হাজার টাকা সহায়তায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ হয়েছে। বাকি চিকিৎসা খরচ জোগান নিয়ে এখন দুশ্চিন্তায় বলে জানান তিনি।

মা খাদিজা, চাচা হায়েত আলী জানান, অর্থ সংকটের কারণে পঞ্চম শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করা হয়নি খায়রুলের। তাই সংসার চালাতে রাজমিস্ত্রি কাজে যুক্ত হয়। এখন কেমনে চলবে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ