মানিকগঞ্জের ঘিওরে ধলেশ্বরী নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলার ডুবে মিলন হোসেন (১৫) নামের এক কিশোর নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছে আরও দুইজন। এ ছাড়া ওই ট্রলারে থাকা আরও চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার কুসুন্ডা এলাকায় ধলেশ্বরী নদীতে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ঘিওর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মিলন হোসেন সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। সে উপজেলার জান্না আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এ ছাড়া সাটুরিয়া উপজেলার কামতা গ্রামের দানেজ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৫) ও একই উপজেলার উত্তর কাউন্নরা গ্রামের মৃত সেলিমের ছেলে রাসেল (১৪) এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের সন্ধানে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কর্যক্রম চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সাটুরিয়ার গোলড়া কামতা এলাকার ৬০ জন স্থানীয় বাসিন্দা যমুনা সেতু এলাকায় নৌ ভ্রমণে যান। পরে ফেরার পথে রাতে ঘিওর উপজেলার কুসুন্ডা এলাকার ধলেশ্বরী নদীতে তাদের ট্রলারের সঙ্গে একটি বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। এতে যাত্রীবাহী ওই ট্রলারটি ডুবে যায়।
এ সময় ট্রলারে থাকা ৬০ জন যাত্রীর মধ্যে ৫৮ জন সাঁতরে নদীর তীর উঠতে পারলেও দুইজন স্রোতে ভেসে যান। ট্রলার ডুবে যাওয়ার সময় প্রাণে বাঁচতে নদীতে ঝাঁপ দেয় মিলন হোসেন। পরে সাঁতরে নদীর তীরে উঠার পর তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে দুপুরে ফোনে আরিচা স্থলকাম নদী বন্দর ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর নাদিম মাহমুদ জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শনাক্ত করতে পারলেও নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ট্রলারটি উদ্ধার বা নিখোঁজ দুইজনের সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ