ঢাকা, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাস্তার ওপর দোকানঘর উত্তোলন মানুষের চরম ভোগান্তি 

প্রকাশনার সময়: ১৮ জুলাই ২০২৪, ১৪:১০

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রাস্তার কাজ বন্ধ করে দোকানঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। ঘটনাটি ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের মীরাকান্দা বেলতলা আঞ্চলিক সড়কের।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বেলতলা থেকে একটি সড়কের কাপেটিং এর কাজ চলমান রয়েছে। হঠাৎ সড়কের ওপর নির্মাণ করা হয় দোকানঘর। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।

প্রতিদিন বিভিন্ন মালামাল পরিবহনসহ হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতে করেন এই সড়কের ওপর দিয়ে। এখন যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এসব মানুষদের।

এই বিষয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই সড়কের কাজ স্বাধীনতার পর পরই স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রথম মাটি ভরাট করেন। এরপর সাবেক চেয়ারম্যান এই রাস্তাটি এইচবিবিতে উন্নত করেন। এরপর কিছু দিন আগে এই সড়কটি কারাপেটিং করার কাজ পায় একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কার্যাদেশ পেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বালুভরাটসহ রাস্তাটিতে খোয়া ফেলেন। এখন সড়কটির মুখেই এই রকম দোকানঘর নির্মাণ করায় রাস্তার কাজের ট্রাক ঢুকতে না পারায় রাস্তার কাজ বন্ধ রয়েছে।

তোফাজ্জেল হোসেন গিয়াস গং সড়কের ওপর ঘর নির্মাণ করেছেন কেন জানতে চাইলে এই প্রতিবেদককে জানান, তাদের মালিকানাধীন জমির ওপর সড়ক তাই দোকানঘর নির্মাণ করেছি। পাশেই খাদ রয়েছে সেটা সরকারি জমি সেখানে রাস্তা নির্মাণ করুক।

এই বিষয়ে স্থানীয় শামিম সেক জানান, আমাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। রাস্তার ওপর এই ভাবে ঘর উত্তোলন ঠিক হয়নি। তবে আমরা চাই পাশে যেহেতু সরকারি জমি রয়েছে সেখান দিয়েই রাস্তা নির্মাণ হোক।

এই বিষয়ে নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহিনুর ইসলাম (সাহাবুর) জানান, মীরাকান্দা বেলতলা ধর্মদী রহিম শেখের বাড়ি পর্যন্ত কার্পেটিং এর কাজ চলমান। আমি জানতে পারি মীরাকন্দা বেলাতলা একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তাটি প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে এই নির্মাণ করা হয়েছে। রাস্তাটির শুরুতেই পাশের মসজিদ ও ব্যাক্তি মালীকানা জমি মাপামাপিতে দেখাযাচ্ছে রাস্তার প্রায় ৫০ পার্সেন্ট ব্যাক্তিমালীকানা। পাশেই সরকারি হালোট রয়েছে প্রায় ১৬ ফিট। এই রাস্তা যখন নির্মাণ হবে তখন তো ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ফেরত পাবেন রাস্তা তো সরকারি জায়গা দিয়েই যাবে। কিন্ত হঠাৎ রাস্তা বন্ধ করে দোকানঘর উত্তোলনের ফলে হাজার হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এই কাজটি ভালো হয়নি। এছাড়াও জানতে পারি রাস্তায় গর্ত করে রেখেছে আমি বলে রাস্তা ভরাট করিয়েছি।

এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম কুদরত এ-খুদার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ