ময়মনসিংহের নান্দাইলে পতিত জমিতে প্রচুর পরিমাণে আগাছা ও ঘাসের কারণে আসন্ন আমন আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। চাষের জমিতে আগাছা থাকায় চাষিরা সেগুলো সরিয়ে ফেলতে হিমশিম খাচ্ছেন। চাষাবাদ নিয়েও কৃষকরাও পড়েছেন বেশ দুশ্চিন্তায়।

বর্তমান সময়ে কৃষিশ্রমিক সংকট ও শ্রমিকের পারিশ্রমিক বেশি হওয়ায় তারা ক্ষেতের আগাছা ও ঘাস দমন করতে পারছেন না। তবে কেউ কেউ নিজের ক্ষেতের আগাছা নিজেরাই পরিষ্কার করছেন। অনেকেই ঘাস মরার ঔষধও প্রয়োগ করছেন।

সরেজমিনে বীরকামট খালী, লোহিতপুর, লক্ষ্মীপুর ও রাজাপুর গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মাঠ সবুজ ঘাসে ভরপুর। দেখলে মনে হবে সবুজ ফসলে ভরে আছে মাঠ। লম্বা ঘাসের পাশাপাশি কচুরিপানায় ছেয়ে গেছে মাঠ। কচুরিপানায় ফুটেছে সুন্দর ফুল। আর প্রতিটি খোলা মাঠে গরু চরে খাচ্ছে ঘাস।

স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বোরো ধান কাটার পর পতিত থাকা প্রতিটি ক্ষেতে ঘাস ও আগাছায় ভরে গেছে। ফলে জমি চাষাবাদ ও আমন রোপণে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছ কৃষকদের।

রোপা আমন চাষাবাদ করতে কোনো কোনো কৃষক এর মধ্যে ট্রাক্টর মেশিন দিয়ে ক্ষেত হালচাষ শুরু করেছেন। চাষের পর ক্ষেত থেকে ঘাস ও আগাছা পরিষ্কার করছেন। অনেক কৃষক ঘাস মরার ঔষধও প্রয়োগ করছেন।

রাজাপুর গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম ও খোকন বলেন, ‘মাঠ থেকে বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার পর পতিত জমিতে অহন প্রচুর ঘাস ও কচুরিপানা অইছে। আমন চাষ নিয়া খুব চিন্তায় আছি। কিভাবে ক্ষেতের ঘাস পরিষ্কার করাম।’

বীরকামট খালী গ্রামের কৃষক আবুল কাশম, মুজিবুর রহমান বলেন, ঘাসে ভইরা গেছে ক্ষেত। কিভাবে ক্ষেত পরিষ্কার করাম বুঝতাছি না। আমন লাগানোর সময় অইছে। ট্রাক্টর মেশিন দিয়া খেত চাষ করতাছি। চাষের পর জমি থেকে ঘাস সাফ করাম।

লোহিতপুর গ্রামের কৃষক ফাইজ উদ্দিন বলেন, ক্ষেত ভইরা গেছে ঘাসে। আমন চাষের সময় অইছে। ক্ষেতে ঘাস মরার জন্য ঔষধ দিছি। কিভাবে সাফ করাম খুব চিন্তায় আছি।

নান্দাইল উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান বলেন, জমি পতিত থাকায় আগাছা ও ঘাসের জন্ম হয়েছে। জমি প্রস্তুত করার পূর্বে কৃষক যদি আগাছানাশক ঔষধ স্প্রে করে নেয় এবং ৫ থেকে ৭ দিন পরে রোপা আমন লাগায় তবে আগাছা আর থাকবে না।

তিনি জানান, মাঠ পর্যায়ে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ