ঢাকা, বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪ কার্তিক ১৪৩১, ২৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

দেশের প্রথম ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেলেন মেরিনা

প্রকাশনার সময়: ১৪ জুলাই ২০২৪, ১৯:০০

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে মেরিনা খাতুন দেশের প্রথম ‘যুদ্ধশিশু’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির চিঠি পেয়েছেন।

রোববার (১৪ জুলাই) উপজেলা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার মো. আইয়ুব আলীর কাছে থেকে ওই চিঠিটি গ্রহণ করেন তিনি।

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) উপ-পরিচালক (উন্নয়ন) প্রথম রঞ্জন ঘটক স্বাক্ষরিত চিঠিতে মেরিনা খাতুনকে যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।

তাড়াশের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি পাওয়া বীরাঙ্গনা পচি বেওয়ার মেয়ে মেরিনা খাতুনকে যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল গত ২৫ এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৮৯তম সভায়। মেরিনা খাতুনকে পত্র প্রদানের মাধ্যমে তা অবহিত করা হয়।

২০২২ সালে ৮ সেপ্টেম্বর তাড়াশ পৌর সদরের উত্তর ওয়াবদা বাঁধ এলাকার মৃত ফাজিল আকন্দের স্ত্রী বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত পচি বেওয়ার মেয়ে মেরিনা খাতুন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদন পাঠান।

আবেদনে মেরিনা খাতুন উল্লেখ করেন, ‘তার মা পচি বেওয়াকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয়ভাবে ২০১৮ সালের ৪ জুলাই বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। যার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নম্বর ২০৫। এরই প্রেক্ষিতে তিনি যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চান।’

এদিকে, যুদ্ধশিশু স্বীকৃতির চিঠি পেয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে মেরিনা খাতুন কেঁদে ফেলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকৃতির চিঠি পেয়ে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। আরও কৃতজ্ঞ স্বীকৃতি পেতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও যে সকল সংবাদকর্মী আমার পাশে ছিলেন তাদের প্রতি।’

তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে মেরিনা খাতুনের। আর বর্তমানে তার পারিবারিক অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। বিশেষ করে ছেলে-মেয়েদের তেমন প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি। এ কারণে বর্তমানে অভাব অনাটনে চলে সংসার। আবার সাম্প্রতিক সময়ে স্বামী ওমর আলী অসুস্থ হয়ে পড়ায় জীবন জীবিকায় অনেকটা টান পড়েছে। তাই মেরিনা সরকারের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের মতো রাষ্ট্রীয় সন্মানী ভাতা দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কামান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আরশেদুল ইসলাম বলেন, দেশের প্রথম যুদ্ধশিশু হিসেবে মেরিনা খাতুন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাওয়ায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের পক্ষে থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি মেরিনাকে যুদ্ধশিশু হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা দেওয়ারও দাবি জানাই।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ