ডাক, টেলিযোগাযোগ, ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, আইটি ট্রেনিং নিয়ে ঘরে বসেই হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা সম্ভব। তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমাদের আইটি ব্যবহার করে তারা ঘরে বসেই ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কিন্তু ডলার ইনকাম করতে পারবে।
এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আইটিতে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই প্রকল্প গৃহীত হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করে একাডেমিক এবং আইটি ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে সেতুবন্ধন প্রতিষ্ঠা করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। ফলে আইটি/আইটিইএস খাতে বাংলাদেশের যুব সমাজের আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে।
শনিবার (১৩ জুলাই) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর ইউনিয়নে শেখ কামাল আইটিতে ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার এর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন কালে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে বের হয়ে তরুণ উদ্যোক্তারা আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে যেনো ব্যাপক পরিসরে কাজ করতে পারেন সে লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হাই-টেক পার্ক স্থাপনের কাজও সমান্তরালে চলমান রয়েছে। এই ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার হতে প্রতি বছর এক হাজার তরুণ-তরুণী প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারবে।
আমরা আশা করছি আগামী দুই বছরের মধ্যে ঠাকুরগাঁও জেলার আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার এর নির্মাণ শেষ হয়ে যাবে এবং এখানে আমরা কার্যক্রম শুরু করবো। এই তরুণ-তরুণীরা ঠাকুরগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করে ডলার আয় করবে; ডলার আয়ের জন্য আর বিদেশে পাড়ি দেওয়ার প্রয়োজন নাই। আর এই তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই আমরা ২০৪১ সালের আগেই একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবো।
এ সময় ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, ঠাকুরগাঁও ২ আসনের সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন, ঠাকুরগাও নারী আসনের সংসদ সদস্য দ্রৌপদী দেবী আগরওয়ালা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ আপেল, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোসারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ