কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রস্তুতিকালে ভোলা সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে।
কলেজের ১নং গেট থেকে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দুপুরে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে ক্যাম্পাসের বাইরে ও ভেতরে দুই দফা মারধর করা হয়।
এতে আহত হয় ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র হাবিবুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. সোহানকে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি দুজনই বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী।
আহতরা জানান, বেলা ১২টায় কোটা সংস্কার কর্মসূচিতে অংশ নিতে ভোলা সরকারি কলেজের কয়েকজন (৬/৭ জন) ছাত্র কলেজের ১নং কেটে অবস্থান করছিল। এসময় ছাত্রলীগের ৩০ থেকে ৪০ জন নেতাকর্মী এসে তাদের তুলে নিয়ে যায়। পরে কলেজের সামনের একটি বাগানে নিয়ে মারধর ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। সেখান থেকে এনে কলেজের পিছনে দ্বিতীয় দফা মারধর করা হয়। এতে তুলে নেয়া সবাই আহত হলেও গুরুতর আহত হাবিবুর রহমান ও মো. সোহান হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাওয়ায় মারধর করা হয় বলে অভিযোগ আহতদের।
তবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসিব মাহমুদ হিমেল।
তিনি জানান, কলেজে ছাত্রশিবিরের কমিটি গঠন খবর পেয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পসে যান। এছাড়া কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের যেন কোনো দুর্ভোগ না হয়, সেকারণে ছাত্রলীগ কলেজে অবস্থান নেয়। মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। তবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ