মিরসরাই ট্র্যাজেডির ১৩ তম বর্ষে অশ্রুসিক্ত নয়নে ফুলের শ্রদ্ধায় নিহত শিক্ষার্থীদের স্বরণ করলো শিক্ষক শিক্ষার্থী,অভিভাবক, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে দুর্ঘটনাস্থলে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’ ও আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সর্বস্তরের মানুষ।
নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে বেলা ১২টায় আবুতোরাব বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের উদ্যোগে শোকসভায় ও দোয়া মাহফিলে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবুল হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাবেক মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিনুল কাদের চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম কলি, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার, মঘাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফায়েল উল্ল্যাহ চৌধুরী নাজমুল, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানা।
এ সময় শিক্ষক শিক্ষার্থী অভিভাবক ও স্বজনরদের অংশগ্রহণে নিহত শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করেন স্কুলের ধর্মীয় শিক্ষক রবিউল হোসেন নিজামী।
এ দিকে নিহতদের স্বজনের দাবি ১১ জুলাইকে নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে যথাযথ মর্যাদায় যেন সারাদেশে ব্যাপি পালন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১১ জুলাই মিরসরাই স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলা শেষে ফেরার সময় শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি পিকআপ বড়তাকিয়া-আবুতোরাব সড়কের সৈদালী এলাকায় পাশের একটি ডোবায় উল্টে যায়। যেখানে উপজেলার আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩৪ জন, আবুতোরাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪ জন, আবুতোরাব ফাজিল মাদ্রাসার ২ জন, প্রফেসর কামালউদ্দিন চৌধুরী কলেজের ২ জন শিক্ষার্থী নিহত হন। এছাড়া এক অভিভাবক, ২ জন ফুটবলপ্রেমী যুবকসহ ৪৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে রচিত হয় মিরসরাই ট্র্যাজেডি।
নিহত শিক্ষার্থীদের স্মরণে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী নিহত হওয়া আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের মূল ফটকে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘আবেগ’ আর দুর্ঘটনাস্থলে নির্মাণ করা হয় স্মৃতিস্তম্ভ ‘অন্তিম’।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ