ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ রায়হান ইসলাম (১৯) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) নিশ্চিন্তপুর শাহাপাড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ টাঙ্গন নদীর থেকে উদ্ধার করা হয়।
এরআগে, গত সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে গোবিন্দনগর ইক্ষুখামার ইজতেমা মাঠ সংলগ্ন ঘাট এলাকায় নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। সে স্থানীয় মুজিবনগর গ্রামের শহিদের ছেলে এবং স্কলার্স কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম লিডার রবিউল ইসলাম।
রায়হানের বড় বোন রুমি আক্তার জানান, সোমবার মাকে নিয়ে হাসপাতালে ছিলাম। ভাই পড়াশোনার পাশাপাশি আড়তে কাজ করত। আমি ভেবেছি সে মহাজনের কাজে আছে। আমার ভাই যে নদীতে গোসলে নেমেছিলো এ কথা আগে কেউ জানায়নি আমাদের। পরেরদিন ৯ জুলাই সকালে জানতে পারি আমার ভাই দুপুরবেলা তার পাঁচ ছয় জন বন্ধুর সঙ্গে নদীতে নেমে ডুবে গেছে। খবর পেয়ে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে কল করি।
এরপর ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও সদর থানা পুলিশ। ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি না থাকায় রংপুর থেকে আসা ডুবুরি দল আজ সকালে নিখোঁজ হওয়া এলাকাগুলোতে অভিযান শুরু করে।
অভিযানের একপর্যায়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে পৌর শহরে নিশ্চিন্তপুর একটি আমবাগানের পাশে নদীর ধারে তার মরদেহ ভাসতে দেখে সেখানকার স্থানীয়রা। এরপর সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা।
ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার রবিউল ইসলাম জানান, সকাল ৭টায় উদ্ধার কাজ শুরু করেন রংপুর থেকে আসা ডুবরি দল ও ফায়ার সার্ভিস। প্রায় দুই ঘণ্টা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করে চারজন ডুবরি। এরই মধ্যে খবর আসে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ ভেসে উঠে। পরে সেখান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ