মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

ছবি তুলেই কুয়াকাটার হোটেল সান মেরিনার দাবি আবেদ আলীর

প্রকাশনার সময়: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১৬:৫৬

প্রশ্ন ফাঁসে অভিযুক্ত পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলীকে নিয়ে উত্তাল নেট দুনিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এরই মধ্যে সম্প্রতি সময়ে আলোচিত এই ব্যক্তির এক ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। দক্ষিণের সাগরকন্যাখ্যাত পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় নির্মাণাধীন একটি আবাসিক হোটেলের মালিকানা দাবী নিয়ে আবেদ আলী তার নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। যা নিয়েই এখন চলছে অনুসন্ধান। তবে হোটেল সান মেরিনার নির্মাণ কাজ পুরোদমে শুরু হয়নি ।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর থেকে এ হোটেলটির মালিকানা নিয়ে কৌতূহলী মানুষের আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া গোটা দক্ষিণাঞ্চল জুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরগরম হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবেদ আলী মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলার বাসিন্দা তিনি। তার বাবার নাম আবদুর রহমান মীর। ডাসার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার জন্য তিনি ইতোমধ্যে এলাকায় পোস্টার-ব্যানার সাটিয়েছেন। গত ১৮ মে আবেদ আলী তার ফেসবুক পেজে কুয়াকাটার হোটেল সান মেরিনা নিয়ে স্ট্যাটাস দেন।

তবে গত দুদিন ধরে এ বিষয়টি কলাপাড়া-কুয়াকাটাসহ উপকূলের মানুষের চোখে পড়ে। সান মেরিনা হোটেল নিয়ে আবেদ আলী তার ফেসবুক পাতায় লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন হোটেল এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলাম আজ। সমুদ্রকন্যার পাড়ে আজীবন নিজের জন্য একটা থাকার ব্যবস্থা ও একই সঙ্গে একটা হোটেলের মালিকানা অর্জন করতে আপনিও শেয়ার কিনতে পারেন।’

তবে এই নামকরণের হোটেলটির কার্যক্রম তদতটা বেগবান নয়। অধিকাংশ জায়গা খালি পড়ে আছে। কেবল সামনের অংশে টিনশেড দিয়ে ৭-৮ টি স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে । এ ছাড়া হোটেলটি কোন ডিজাইনে নির্মিত হবে তার ছবি দিয়ে একটি সাইনবোর্ড সাটানো রয়েছে হোটেলের নির্ধারিত জায়গায়।

এ দিকে ২০১০ সালে আবাসিক হোটেল নির্মাণ করার জন্য কুয়াকাটা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পাঞ্জুপাড়ায় ৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন এ হোটেলের মূল মালিক দাবিদার মো. মোশারফ হোসেন ।

সান মেরিনা হোটেলটির বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য অনুসন্ধান করলে জানা যায়, এ হোটেলটির মালিক মো. মোশারফ হোসেন। তিনি লিবার্টি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। এ গ্রুপ পিডিবি (পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড), পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি), রুরাল ইলেট্রিফিকেশন বোর্ড (আরইবি), ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (ডিপিডিসি), ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানীর (ডেসকো) ঠিকাদার হিসেবে সাবস্টেশন ও ট্রান্সমিশন লাইনের নিয়মিত কাজ করে থাকেন।

সান মেরিনা হোটেলে কর্মরত মো. ফারুক হোসেন বলেন, আমি মোসারফ স্যারের অধীনে অদ্যাবধি ৮ বছর যাবৎ চাকরি করেছি। সৈয়দ আবেদ আলী নামে কাউকে আমি দেখিনি। তবে তিনি কয়েকমাস আগে এখানে এসে হোটেলের শেয়ার নেওয়ার জন্য আলোচনা করেছিলেন। তখন আমি তাকে মোশাররফ স্যারের যোগাযোগ করতে বলছি। তখন একটা ছবি তুলতে দেখছি আমাদের হোটেলের বিজ্ঞাপনের সঙ্গে।

সান মেরিনা হোটেলের মালিক মোশারফ হোসেন বলেন, গত দুই- তিন মাস আগে সৈয়দ আবেদ আলী আমার হোটেলটির সামনে অপর একটি হোটেলে এসে উঠেন। পরদিন সকালবেলা আমার হোটেলের জায়গায় গিয়ে শেয়ার ক্রয় করবেন বলে জানান। তখন সে আমার লোকের কাছ থেকে শেয়ার ক্রয়ের বিস্তারিত জেনে যায়। এ পর্যন্তই, আসলে আমি কখনও তাকে দেখিনি এবং চিনিওনা।

তিনি আরও বলেন, আবেদ আলীকে একজন টাউট প্রকৃতির লোক বলে মনে হয়েছে। আমি এ জন্য ঢাকার গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবো।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ