সড়ক খুঁড়ে রাখা হয়েছে। ওপর বালুর আস্তরণ। সড়কের দুই পাশে ইটের দেয়াল করায় পানি জমে সড়কে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়ক দিয়ে হেলেদুলে চলছে যানবাহন। জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ সড়কের শ্রীরামসির রাস্তার মুখ থেকে শ্রীরামসি বাজার পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ ফেলে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অথচ পাঁচ মাস আগে কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে, এখনও কাজ শেষ হয়নাই ।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে কাজটি হচ্ছে।
সোমবার (৮ জুলাই) সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের গভীর করে মাটি খুঁড়ে রাখা হয়েছে। খুঁড়ে রাখা সড়কের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে যানবাহন ঠেলে ঠেলে পার করতে হচ্ছে মানুষের।
সিলেট মদনমোহন কলেজ অনার্স প্রথম বর্ষ ছাত্র সায়েম আহমদ বলেন, আমাদের গ্রামের এ রাস্তার বাপ-মা নাই। আমাদের মেম্বার চাচা রাস্তার খোঁজ খবর নেন, তাইতো রাস্তাটি খুঁড়ে রেখে ঠিকাদার লাপাত্তা ছিলেন এখন রাস্তায় কাজ শুরু হবে শুনেছি।
৩ নং মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহবুব হোসেন বলেন, এ সড়কে দিয়ে উপজেলার সৈয়দপুর, শাহারপাড়া,আশারকান্দিও মীরপুর ইউনিয়নের অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এই সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। মানুষ সবসময় আমার কাছে এ রাস্তার অভিযোগ করেছেন।
আগামীকাল রাস্তার কাজ শুরু হবে।এলজিইডি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শ্রীরামসি সড়কের রাস্তার মুখ থেকে শ্রীরামসি বাজার পর্যন্ত ওই সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইরশাদ কনস্ট্রাকশন। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সড়কের কাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজের মেয়াদ শেষ হয়।
জানতে চাইলে ঠিকাদারের প্রতিনিধি মো. সান্টুর বলেন, জিনিস পত্রের দাম বেশির কারণে কাজ করতে পারিনি। তবে আগামী মঙ্গলবার ৯ জুলাই কাজ শুরু করবো।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, আবহাওয়ার কারণে কাজ বিলম্বিত হয়েছে। তবে খুঁড়ে রাখা সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ