ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পোস্ট অফিসের দায়িত্বে গাফিলতির কারণে সঠিক সময়ে চিঠি না পাওয়ায় মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি শামীম হাসান নামের এক চাকরিপ্রার্থী।
শামীম হাসান উপজেলার চরনিখলা গ্রামের দিনমজুর ইদ্রিস মিয়ার ছেলে।
শামীমের অভিযোগ, গত ১৩ জুন পোস্ট অফিসে তার একটি চাকরির মৌখিক পরীক্ষার চিঠি আসে। ১ জুলাই তিনি জানতে পেরে চিঠি আনেন। তবে ২২ জুন ওই পরীক্ষার দিন ছিল। চাকরিপ্রার্থী বাড়ির এক কিলোমিটার দূরে পোস্ট অফিস। তবে ১৯ দিনেও ওই প্রার্থীর কাছে চাকরির চিঠি পৌঁছেনি।
সঠিক সময়ে চিঠি না পাওয়ায় চাকরি হারিয়ে বলে অভিযোগ তার। এসময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ ঘটনার বিচার দাবি এই চাকরিপ্রার্থীর।
শামীম হাসান জানান, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদের ‘লিফটম্যান’ পদে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। গত ২২ জুন মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হয়েছিল তাকে। গত ৬ জুন ডাক বিভাগের রেজিস্ট্রিপত্র নম্বর ২৭৭ চিঠি প্রেরণ করে। ১৩ জুন চিঠি আসে ঈশ্বরগঞ্জ পোস্ট অফিসে। তবে সঠিক সময়ে চিঠি না পাওয়ায় মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি শামীম।
তবে দায়িত্বে গাফিলতির কথা স্বীকার করলেন ঈশ্বরগঞ্জ পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার মো. আব্দুছ ছাত্তার। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। এটা গাফিলতি হয়েছে, তবে আমার পোস্ট অফিসে লোকবলের অভাব। বিশেষ করে ৪ জন পোস্ট পিয়নের বিপরীতে কেউ নেই। দুজন ইডিকে (পরীক্ষামূলক পোস্ট পিয়ন) দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে সাইদুর রহমান নামের একজনের এই চিঠিটি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ