ঢাকা, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

তাড়াশে জরাজীর্ণ প্রাণি সম্পদ ভবনে জীবনের ঝুঁকি

প্রকাশনার সময়: ২৮ জুন ২০২৪, ২০:২০ | আপডেট: ২৮ জুন ২০২৪, ২০:২২

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা প্রাণি সম্পদ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে অফিসের কার্যক্রম ও বাসায় বসবাস। ১৯৮৬ সালে নির্মিত হয় প্রাণি সম্পদ দপ্তরের অফিস কাম আবাসিক দুই তলা সরকারি ভবনটি। সেই হিসেবে ভবনের বর্তমান বয়স প্রায় ৩৮ বছর।

গত প্রায় চার দশকে ভবনটির তেমন কোনো সংস্কার কাজও করা হয়নি। যে কারণে ভবনে ফাটল ধরেছে এবং দেয়ালে বিভিন্ন গাছ গজিয়েছে। এতে ভবনটি হয়ে পড়েছে ঝুঁকিপূর্ণ। এ অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। একইসঙ্গে তারা পরিবার নিয়ে আবাসিক বাসায় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানান, উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের অফিস সহকারী মো. ফিরোজ হোসেন।

দুই তলা ভবনের নিচ তলায় রয়েছে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেরিনারি কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তার অফিস কক্ষ। আরো আছে মূল্যবান ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম রাখার ষ্টোর, কম্পাউডারের কক্ষ, সভা কক্ষসহ দাপ্তরিক নানা কাজে ব্যবহৃত আরো বেশ কয়েকটি কক্ষ। যার সবই এখন আংশিক অচল বা বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে।

ভবনের প্রায় সব কক্ষেই ভয়াবহ ফাটল, পলেস্তরা খুলে অফিসের কর্মরত ও সেবা নিতে আসা লোকজনের মাথায় পড়ছে। আবার মূল্যবান ঔষধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম রাখার ষ্টোর কক্ষে শ্যাওলা পড়ে এবং বৃষ্টির পানি চুইয়ে একেবারে কক্ষটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে এখানে রাখা ঔষধের মান নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

সেবা নিতে আসা উপজেলার রানী‌দিঘী গ্রামের মো. গোলাম রব্বানী জানান, মাঝে মাঝে গরুর চিকিৎসা করাতে এখানে আস‌তে হয়, ত‌বে কক্ষগুলোতে ঢুকলে ভয় করে। বর্তমানে ভবনের এমন অবস্থা যে কোনো সময় মাথার ওপর পলেস্তরা খুলে পড়বে।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. বাদল মিয়া জানান, ভবনের দ্বিতীয় তলায় দুটি ইউনিটে আছে। যাকে ভি এস কোয়ার্টার বলা হয়। এখানে ভেটেরিনারি কর্মকর্তার, অফিস কম্পাউডারের পরিবারসহ বসবাসের আবাসিক ব্যবসা আছে। আর দুটো ইউনিটের পুরো বাসার অবস্থা আরো শোচনীয়। এতে বাসা ভাড়ায় পরিবার নিয়ে থাকেন কর্মকর্তারা। কারণ যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

এদিকে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার জন্য গত ১২ জুন উপজেলা প্রাণি সম্পদ দপ্তরের প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ডা. অলিউর ইসলাম তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমারের কাছে একটি পত্র পাঠিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বর্তমানে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের দ্বি-তল ভবনটির যে বেহাল অবস্থা। এতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনায় জীবনের ওপর ঝুঁকি আসতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা পত্র প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার জন্য উপজেলার একটি কমিটি আছে। আর কমিটির সদ্যস্যদের সা‌থে বসে এ ব্যাপারে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ