গাজীপুরের শ্রীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শ্বাসরুদ্ধ করে স্ত্রী মিম আক্তার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি স্বামী আল-আমিনকে (২৪) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
বুধবার (২৬ জুন) রাতে জামালপুর জেলার সদর থানার ফৌজদারি মোড় এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আল-আমিন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার সিংগুলির কালাই গ্রামের আমিরুল খান এর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল ১১টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর জুন্নুরাইন বিন আলম এ তথ্য জানান।
মেজর জুন্নুরাইন বিন আলম জানান, ভিকটিম মিম ও আল-আমিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে সাত মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর আল-আমিনের সামর্থ্য থাকার পরও মিমের ঠিকমত ভরণ-পোষণ করতো না। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মধো ঝগড়া লেগেই থাকতো। এতে প্রচণ্ড ক্রোধ এবং প্রতিশোধ পরায়ণতা সৃষ্টি করে মিমকে হত্যা করার পরিকল্পনার সুযোগ খুঁজতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী পূর্বে ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে রুমে তালা দিয়ে চিরকুট লিখে আল-আমিন পালিয়ে যায়।
চিরকুট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই চিরকুটের কোনো ভিত্তি নেই। মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার জন্য এই কৌশল অবলম্বন করে আল-আমিন।
তিনি আরও বলেন, আল-আমিনের সামর্থ থাকলেও স্ত্রীর চাহিদা পূরণ করেনি। বরং সে বিভিন্ন সময়ে স্ত্রীকে বাসায় তালাবদ্ধ করে রেখে কর্মস্থলে যেতেন। বাসায় ফিরে এসে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন চালাতেন।
মিমের বাবা ইউসুফ আলী খান বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন । এই ঘটনাটি চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হওয়ায় ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামি গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে র্যাব। পরে র্যাব-১ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে আসামি আল-আমিন জামালপুর জেলার সদর থানার ফৌজদারি মোড় এলাকায় আত্মগোপনে আছে। এই সংবাদের ভিতিত্তে র্যাব-১ ও র্যাব-১৪ এর যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামি আল-আমিনকে রাতে ওই এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। গ্রেপ্তার আল-আমিনকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্রীপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ