গাজীপুরের শ্রীপুর বহুতল ভবনের তালাবন্ধ রুম থেকে মিম আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী আল-আমিন পলাতক রয়েছে।
বুধবার (২৬ জুন ) বিকালে উপজেলার মাওনা উত্তর পাড়া এলাকার তিন তলা বাসার একটি ফ্ল্যাট থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিআইডি, পিবিআই, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
নিহত মিম সিরাজগঞ্জের বেলকুচির উপজেলার ছোট বেড়া খারুয়া এলাকায় ইউনুস খানের মেয়ে। নয় মাস আগে পারিবারিকভাবে আল-আমিন ও মিমের বিয়ে হয়। তিন মাস আগে উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া এলাকার মো.আ. ছমাতের তিন তলা ভবনের তিন তলায় বাসা ভাড়া নেন আল-আমিন। ওই বাসায় স্ত্রী মিমকে নিয়ে থাকতেন। তিনি সাদ টেক্সটাইলে চাকরি করতেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে তার কলিগ আরিফকে মোবাইল দিয়ে বলে মিমকে হত্যা করে রুমে তালা দিয়ে রেখে আসছি। সে যেন বাসায় গিয়ে খবরটা দেয়। পরে আরিফ তাৎক্ষণিক ওই বাসার কেয়ারটেকারকে খবর দেয়। পরে পুলিশকে জানালে রুমের তালা ভেঙে মিম এর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মিমের চরিত্র খারাপ থাকায় তাকে হত্যা করে বলে মোবাইলে জানান আল-আমিন।
পরে খবর পেয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।
এ সময় তিনি বলেন, মাওনা এলাকার একটি ফ্ল্যাটে মিম আক্তার নামের এক নারী মারা গেছেন এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে কোনো এক সময় আল-আমিন তার স্ত্রীকে গলায় রশি দিয়ে পেঁচিয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহের পাশে চিরকুট লিখে রেখে যান। এ ঘটনার পর নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছেন। তবে এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ