এলাকাবাসী দুর্ভোগ লাঘবে নিজ উদ্যোগে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের চারদিকের রাস্তা সংস্কার করছেন সিরাজুল ইসলাম সিরু। রাস্তা সংস্কার করে এলাকায় সুনাম কুড়িয়েছেন এই ব্যবসায়ী।

সারেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইউনিয়নের হাতীলেইট বাবুলের বাজার সড়কটি জয়না মার্কেটের সাথে যুক্ত হয়েছে। এ রাস্তার কিছু অংশ পাকা হয়েছে। বাকী অংশ কাঁচা। কাঁচা অংশে ভোগান্তির কোনো অন্ত ছিল না। ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে লেয়ার ফার্ম ও উৎপাদিত পন্য বিক্রি করতে যেতে হয় আশপাশের বিভিন্ন হাট বাজারে।

এছাড়াও হাতীলেইট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাতীলেইট উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে থাকেন এ সড়ক দিয়ে। লাল মাটি, মায়াবি মাটি সামান্য বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত হয়ে একাকার হয়ে যায়। ছোট খাটো গর্তে ফার্মের ডিম আনা-নেওয়ায় উভয়পক্ষের গুনতে হয় মাশুল।

সিরাজুল ইসলাম তিনিও একজন ব্যবসায়ী। মাসুলের ক্ষেত্রে তাকেও গুনতে হয় বেশি ক্ষতিপূরণ। সব মিলিয়ে ওই ওয়ার্ডে তিনি এখন আলোচনায়। শুধু এসড়কটি নয়, ওয়ার্ডের প্রায় সবগুলো কাঁচা রাস্তা তিনি সংস্কার করে চলাচল উপযোগি করে তুলেছেন।

স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বী জানান, বর্ষার পরে একটু সংস্কারের অভাবে আমরা সারা বছর কষ্ট করি। কিন্তু এইবার সিরাজ ভাই আমাদের রাস্তাটা সংস্কার করার কারণে এখন পাকা রাস্তার মতোই সুবিধা ভোগ করছি। এভাবে সমাজের দায়িত্বশীলরা দায়িত্ব পালন করলে সমাজ পরিবর্তন হতো।

হাতীলেইট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, রাস্তা খারাপ থাকার কারণে অন্য বাড়ীতে মোটরসাইকেল রেখে স্কুলে আসতাম এখন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমরা যানবাহন যোগে স্কুলে আসতে পারবো। যিনি উদ্যোগ নিয়েছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই স্কুলের পক্ষ থেকে।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও সমাজ সেবক শহিদুজ্জামান আকন্দ লালু বলেন, সিরু জনপ্রতিনিধি না হয়েও একজন জনপ্রতিনিধির চেয়ে বেশি কাজ করেছে। গত ইলেকশনে নির্বাচন করতে চেয়েছিল কিন্তু আমরা পারিবারিকভাবে ওর বড়ভাই সেকান্দরকে মেম্বার পদে দাঁড়ানোর জন্য বলেছিলাম। এইবার আমি তো তাকে না করতে পারবো না। ইতিমধ্যে ওয়ার্ডে সিরাজুল ইসলামের জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে অনেক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। মানুষের সাথে ওঠা বসা আছে আমার। রাস্তা সংস্কারসহ সামাজিক কাজকর্ম করে যাচ্ছি ছওয়াবের আশায়। নয়া শতাব্দী/জেআই