ময়মনসিংহের নান্দাইলে ২৬ দিনে চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত ৩১ মে থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত পৃথক স্থানে চারটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় একই সময় সিএনজিচালিত পাঁচটি অটোরিকশা চুরি হলেও সন্ধান মেলেনি একটিরও। এসব হত্যাকাণ্ডের মূল হোতারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এতে নান্দাইলের জনপদে চরম উৎকণ্ঠা ও ভীতি কাজ করছে। এতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নান্দাইলে উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতায় গত ৩১ মে খুন হন নান্দাইল পৌরসভার কাকচর মহল্লার তফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে কলেজছাত্র মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া (১৭)।
গত ১৯ জুন খুন হন খারুয়া ইউনিয়নের মাটিকাটা গ্রামের সিরাজ উদ্দিন চেচু মিয়ার ছেলে লাল মিয়া (২৮)।
এরপর ২১ জুন উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের কোনাডাঙ্গর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন ইদ্রিস আলী (৭০) নামের এক ব্যক্তি।
পরদিন ২২ জুন প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরশ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আব্দুলের ছেলে অটোরিকশা চালক আবুল কাশেম (৪২)।
প্রত্যেক ঘটনায় মামলা হলেও মূল হোতাদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মজিদের দাবি, চারটির মধ্যে ইদ্রিস আলী নিহতের ঘটনাটি হত্যা নয়। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। বাকি ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
প্রায় একই সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাঁচটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চুরি হয়েছে । গত ২৬ মে মিশ্রিপর গ্রামের আবুল ও আব্দুল্লাহর একটি করে অটোরিকশা চুরি হয়। গত ১২ জুন মাসুদ রানা ও মোজাম্মেল হক শিমুলের একটি এবং ২২ জুন চন্ডীপাশা মহল্লার আব্দুল আওয়ালের একটি অটোরিকশা চুরি হয়। এসব চুরির ঘটনায় একটিও উদ্ধার না হওয়ায় হতাশ ভুক্তভোগী পরিবাররা।
এ বিষয়ে নান্দাইল থানার মডেল অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল মজিদ বলেন, অটোরিকশা উদ্ধারের চেষ্টা ছাড়াও অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ