ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে জিও ব‍্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা 

প্রকাশনার সময়: ২৫ জুন ২০২৪, ১৭:২৮

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এলাকায় গত সপ্তাহে প্রায় ৫০ মিটার এলাকা নদীর পাড় ভেঙ্গে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন প্রতিরোধে গত সোমবার (২৪ জুন) সকাল থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্তৃক বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

সকালে সরেজমিনে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ভাঙ্গন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিআইডব্লিউটিএ’র সহযোগিতায় ট্রলার থেকে বালু ভর্তি করে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলছে শ্রমিকরা।

এ দিকে নদী ভাঙ্গন কবলিত আশপাশের অসহায় লোকজন এখনো ভাঙ্গন আতঙ্কে অন্যত্র ঘর-বাড়ি ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছেন।

সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভাঙনের আগেভাগে প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিলে এত বড় ক্ষতি কখনো হতো না।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অভিযোগ, ঘাট কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই বারবার দেখা দিচ্ছে এমন ভাঙন।

বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ভাঙন প্রতিরোধে ট্রলার থেকে বালু ভর্তি করে ভাঙন স্থানে কিছু জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। স্থায়ী ভাঙন ঠেকাতে ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরী ঘাট এলাকায় ভাঙ্গনের খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। আপাতত ভাঙন ঠেকাতে কিছু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।

এ দিকে গত শুক্রবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহম্মেদ মোস্তফা। এ সময় তিনি বলেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাট নিয়ে সরকারের বড় পরিকল্পনা রয়েছে। এখানে আধুনিক নদীবন্দর করার কথা ভাবছে সরকার। এর আগে যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে, সেটির বরাদ্দ আরো বাড়বে, তাই এখনই কাজ শুরু হচ্ছে না। ঘাট এলাকায় ভাঙন দেখা দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।হয়ে গেছে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ