রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় ডুবে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ চর ও নিম্নাঞ্চল। সেইসঙ্গে নদীতে স্রোত ও ঢেওয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে দৌলতদিয়া ফেরি ও লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে ৬ ও ৭ নং ফেরিঘাটের অনেকটা এলাকা নদীতে বিলীন হয়েছে। নদীতে চলে গেছে কয়েকটি বসতবাড়ী ও দোকানপাট। বিআইডব্লিউটিএ প্রাথমিকভাবে কিছু বালুর বস্তা ফেললেও, তা অপ্রতুল। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে শতশত বসতবাড়ি, ফসলি জমি, দোকানপাট, স্কুল ও ফেরিঘাটমুখী পাকা সড়ক।
এদিকে রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী শনিবার (২২ জুন) সন্ধ্যার পর দৌলতদিয়ার ভাঙন কবলিত ফেরিঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় স্থানীয়রা ভাঙন প্রতিরোধে জরুরি ব্যবস্থা নিতে সংসদ সদস্যের নিকট দাবি জানান।
পরিদর্শন শেষে সংসদ সদস্য বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানের সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন।
তিনি বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যানকে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে আগামী দুইদিনের মধ্যে ফেরিঘাট এলাকার ভাঙ্গন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ করতে হবে। অন্যথায় এখানকার শতশত মানুষ মানববন্ধনসহ কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে এখানে প্রাথমিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। কিন্তু সেই কাজ নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। আগামীতে যে কাজ করা হবে, সেটার জন্য তাকে এবং স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করে করা হবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সি, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. ইউনুস হোসেন মোল্লাসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দৌলতদিয়া পয়েন্টের গেজ রিডার সালমা খাতুন জানান, রোববার (২৩ জুন) সকাল ৬টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার এ পয়েন্টে ৬ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পায়। শনিবার (২২ জুন) বৃদ্ধি পেয়েছিল ৩০ সে.মি.। রোববার সকালে পদ্মায় পানির লেভেল ছিল ৬.৪৫ মিটার। এখানে পানির বিপদসীমার স্তর ৭.৯০ মিটার।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ