লালমনিরহাট কালীগঞ্জের কাকিনা ইউনিয়নের জেলে পাড়া গ্রামের বৃদ্ধ দিনমজুর আজিজার রহমান (৭৭) ও সুফিয়া বেগম (৬৫) দম্পতির দুই সন্তানই প্রতিবন্ধী।
মানসিক, শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী সন্তান ৩৫ বছরের মর্জিনা খাতুন (৩৫) ও ছোট মেয়ে টুলটুলি খাতুন (২৬)। ৩৫ ধরে মর্জিনা ও টুলটুলিকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন গরিব-অসহায় বাবা-মা।
অসহায় বাবার পক্ষে দুই সন্তানের জন্য হুইল চেয়ার কিনে দেওয়ার স্বামর্থ্য না থাকায় সরকারিভাবে হুইল চেয়ারের জন্য আকুতি জানিয়েছেন তিনি।
দুই সন্তানেই জন্ম থেকেই মানসিক, শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় চরম দুর্দিন পার করছেন পরিবারটি। দুই প্রতিবন্ধী সন্তানের দুই হাতের কুনই ও দুই পা বাঁকাসহ চিকন হওয়ায় পঙ্গুত্ব জীবন বরণ করছে দুই যুবতি ফলে ২৪ ঘণ্টায় বিছানায় শুয়ে থাকতে হয় তাদের। অভাবের কারণে চিকিৎসা তো দূরের কথা দুই সন্তানের মুখে ভালো খাবার তুলে দিতে পারে না পরিবারটি।সরেজমিনে দেখা গেছে, কাকিনা জেলে পাড়ার দরিদ্র দিনমজুর আজিজার রহমান কোনো ফসলি জমি নেই। বাবার দেওয়া মাত্র আট শতক জমিতে বসতভিটা। আজিজার জীবন-জীবিকার তাগিদে মসজিদের প্রতি শুক্রবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে মুষটির চাল তুলে আরা মাঝে মধ্যে জেলেপাড়া মাছের পোনা পানি দিয়ে থাকে তাতে আর দিনে আয় আসে ১৫০-২০০ টাকা আয় করেন। সেই আয় দিয়ে নিজের জীবন চলানোর পাশাপাশি বাড়িতে স্ত্রীসহ দুই প্রতিবন্ধী দুই মেয়েকে নিয়ে চরম হিমশিম খাচ্ছেন পরিবারটি। সংসারে আয় বলে দুই সন্তানের ভাতার টাকা ও সামান্য আয়ে অতি কষ্টে চার সদস্যের সংসার চলে খেয়ে না খেয়ে।
বাবা আজিজার রহমান ইসলাম ও মাসুফিয়া বেগম জানান, আমাদের অভাবি সংসার। জন্মের পর থেকে দুই সন্তানের চিকিৎসার পেছনে আমরা অনেক টাকা-পয়সা খরচ করেছি। কিন্তু সুস্থ করতে পারেনি। সেখানে দুই সন্তানের ভরণপোষণ ব্যয়ভার মিটিয়ে মেয়ের জন্য হুইল চেয়ার কেনা আমাদের কাছে স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই না।
এ বিষয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.আব্দুর রাজ্জাকের জানান, প্রতিবন্ধী মেয়ে দুটির জন্য সমাজসেবা থেকে প্রতিবন্ধী ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে,তারা আবেদন করলে সমাজসেবা অধিদপ্তর পরিচালিত প্রতিবন্ধীদের জন্য সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ এর ব্যবস্থা করবেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম বলেন, আমি হুইল চেয়ার দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিচ্ছি।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ