টানা এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে টাঙ্গাইল শহরের জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন রাস্তায় কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটুপানি জমেছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাতায়াতকারীরা।
অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলের সময় কাঁদাপানি ছিটকে পথচারীদের গাঁয়ে ও আশপাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পড়ে কাপড় এবং মালামালে নষ্ট হচ্ছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা তেমন ভাল না হওয়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পৌরবাসী দ্রুতই জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যক্রর প্রদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান।
জানা যায়, টাঙ্গাইল শহরে শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত একটানা বৃষ্টিপাত হয়। এর ফলে শহরের প্রধান সড়কে হাঁটু সমান জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। টাঙ্গাইল ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধাকার তৈরি হয়। দেখলে মনে হবে যেন সড়কটি আস্ত একটি খালে পরিনত হয়েছে। বুজার উপায় নেই যে এটি সড়ক নাকি খাল! ড্রেনের ব্যবস্থা থাকলেও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা তেমন ভাল না থাকার কারণে এমন জলাবদ্ধাতার সৃষ্টি হয়েছে বলে পৌরবাসী জানায়।
তারা বলেন, অল্পবৃষ্টি হলেও শহরে হাঁটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে আমাদের অনেক দুর্ভোগে পড়তে হয়। আমরা দ্রুত জলাবদ্ধাতা নিরসনের দাবি করছি।
সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে রয়েছে। এ সব সড়ক দিয়ে রিকশা, অটোরিকশার যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে। হাঁটু সমান পানির মধ্যেই অনেক রিকশা ও অটোরিকশার ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। শহরের প্রধান রাস্তার যে অবস্থা তাতে দেখে মনে হয় নৌকা চালানো যাবে।
পথচারীরা বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পানি জমে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এমন পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভাল না হওয়ায় এমন সৃষ্টি হয়েছে। সামনে আরও বৃষ্টি হবে, তাই দ্রুত পৌর কর্তৃপক্ষকে এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। এ ছাড়াও শহরের রাস্তাগুলো ভাঙাচোরা। একদিনে দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা-ঘাট বেহাল, অন্যদিকে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তায় জমে থাকে হাঁটু পানি। এতে পৌরবাসীর দুর্ভোগের শেষ নেই।
জলাবদ্ধতা নিয়ে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সামনে কথা হয় জেলা শিক্ষা অফিসের কর্মরর্ত মোহাম্মদ সাহেব আলী বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা সঠিক না থাকার কারণে এমন জলাবদ্ধতার তৈরি হয়েছে। হাঁটু সমান পানির মধ্যেই আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।
রিকশা চালক মামুন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে আমাদের রিকশা চালতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তার মধ্যে বৃষ্টির পানির সঙ্গে ড্রেনের নোংরা পানি মিশে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
টাঙ্গাইল আবহাওয়া অফিস জানায়, জেলায় সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার প্যানেল মেয়র হাফিজুর রহমান স্বপন বলেন, আমরা দ্রতই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করছি। উল্লেখ্য, টাঙ্গাইল পৌরসভার প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভা। ১৮৮৭ সালে টাঙ্গাইল পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ