পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে ঈদ শেষে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বারখ্যাত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ঈদ শেষে স্বজনদের রেখে কর্মস্থলে ফিরতে কষ্ট লাখছে। তবে ঘাট এলাকায় ভিড় থাকলেও যাত্রায় স্বস্তির কথা জানান তারা।
শুক্রবার (২১ জুন) সকাল থেকেই কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ বাড়তে থাকে লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এলাকায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকায় স্বস্তি নিয়েই কর্মস্থলের দিকে ঘাট পার হচ্ছেন যাত্রীরা।
আশুলিয়ার এক গার্মেন্টস কর্মী জাহানারা বলেন, ‘বাবা-মা ও পরিবারের সঙ্গে ঈদ ভালোই কাটালাম। ছুটির দিনগুলো খুব ভালোই কেটেছে। এখন তাদের রেখে আসাতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও যেতে হবে, না গেলে চাকরি থাকবে না।’
ইকবাল নামের অপর এক যাত্রী জানান, এবার ঘাটে কোনো ঝামেলা হয়নি। তবে লঞ্চ ভাড়াটা বেশি নিয়েছে। ঢাকা থেকে ফিরলাম এক রকম ভাড়া দিয়ে আর যাওয়ার সময় ফিরতে হচ্ছে আর রকম ভাড়া দিয়ে। তবে রাস্তা ফাঁকা। সবমিলিয়ে ভালোভাবে আসতে পেরেছি।
ঈদ যাত্রী ফেরাতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে শনিবার (২২ জুন) ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করছে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দূরপাল্লার পরিবহন এবং প্রাইভেটকারের চাপ বাড়ছে। তবে এই নৌপথে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
এ দিকে ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া দৌলতদিয়া সাইনবোর্ড এলাকা পর্যন্ত দুই কিলোমিটার যানবাহনের সারি তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, আমাদের বহরে থাকা ১৮টি ফেরি যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে চলাচল রয়েছে। তবে ঘাটে কিছু যানবাহনের সিরিয়াল রয়েছে। তবে যাত্রীরা স্বস্তিতে পারাপার হচ্ছে। যানজট অচিরেই শেষ হয়ে যাবে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ