সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় এমরান মিয়া (২২) নামে এক মুদি দোকানিকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১) জুন সকাল ৮টার দিকে তাহিরপুর উপজেলার-বাদাঘাট সড়কের পাশে হোসনারঘাট গ্রামে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত এমরান মিয়া হোসনারঘাট গ্রামের সাজিদ মিয়ার ছেলে।
ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘাতক হোসনারঘাট গ্রামের বিল্লাল মিয়ার ছেলে লিটন মিয়াকে (৩৪) পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হোসনারঘাট এলাকায় স্বল্প পুঁজি নিয়ে বসতঘরের ভেতর থাকা ছোট কামড়ায় মুদির ব্যবসা করে আসছিলেন এমরান মিয়া। একই গ্রামের লিটন মিয়া অনেকদিন থেকে ওই দোকান থেকে বাকিতে সিগারেটসহ নানা পণ্য সামগ্রী ক্রয় করেও বকেয়া পরিশোধে গড়িমসি করে আসছিলেন। বকেয়া টাকা পরিশোধ না করেই ফের শুক্রবার সাত সকালে ওই মুদি দোকান থেকে বাকিতে সিগারেট নিতে যান লিটন। এমরান বাকিতে সিগারেট না দেওয়ায় প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে নিজ বাড়ি থেকে ধারালো দা নিয়ে এসে লিটন দোকানের ভেতরই কুপিয়ে হত্যা করে এমরানকে। পরবর্তীতে গ্রামবাসি উদ্ধার করে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফয়েজ আহমেদ এমরান মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে যাবার পথে খবর পেয়ে তাহিরপুর থানার ওসির নেতৃত্বে বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) নাজমুল ইসলাম, এএসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই বাচ্চু মিয়া একদল পুলিশ নিয়ে তাহিরপুর -বাদাঘাট সড়কের পাতারগাঁও এলাকায় ব্লক রেইড দিয়ে ঘাতক লিটনকে সকাল ৯টার দিকে গ্রেপ্তার করেন।
ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যকাণ্ডের বিষয়ে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ