ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বানের পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ, জনভোগান্তি চরমে! 

প্রকাশনার সময়: ২০ জুন ২০২৪, ১০:৪৪ | আপডেট: ২০ জুন ২০২৪, ১০:৫৫

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও অতিভারী বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় তলিয়ে গেছে বাড়িঘর-রাস্তাঘাট। পানি বাড়তে থাকায় ডুবছে নতুন নতুন এলাকা। এতে জনদুর্ভোগ ও ভোগান্তি পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে। ফলে বলা যায়, ৩ হাজার ৭৪৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ জেলা এখন ভাসছে বানের জলে।

পাহাড়ি ঢলের পানিতে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী দোয়ারাবাজার ও ছাতক উপজেলার বাসিন্দারা। শুরু থেকেই এ দুই উপজেলার মানুষ বন্যাকবলিত হয়ে পড়লেও এখানে প্রশাসনের তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে সুনামগঞ্জ সদর, তাহিরপুরসহ সাত উপজেলার নিম্নাঞ্চল যখন তলিয়ে গেলো তখন নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন। তাৎক্ষণিক নেওয়া হয় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলার প্রস্তুতি। তবে প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই সাত উপজেলার প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন।

সুনামগঞ্জ শহর ছাড়াও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, জগন্নাথপুর, জামালগঞ্জ, শান্তিগঞ্জ, ধর্মপাশা, দিরাই, শাল্লা ও মধ্যনগর উপজেলা। এসব এলাকার ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১০ লাখ মানুষ।

বন্যার পানির নিচে কবির মিয়ার বাড়িসহ চাষের জমি। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, আমরা কি এ বন্যার কবল থেকে মুক্তি পাব না? খুব কষ্টে আছি কয়েকদিন ধরে, পেট ভরে খেতে পারছি না।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক রাশেদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, বন্যা মোকাবিলায় এরই মধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির বদলে আরও অবনতির আশঙ্কার কথা জানালেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হলে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

তবে আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে সুরমা নদীর পানি কিছুটা কমে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ