ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪, ১৩ আষাঢ় ১৪৩১, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

তিস্তায় বাড়ছে পানি, নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশনার সময়: ১৮ জুন ২০২৪, ২২:৩৩

উজানের অব্যাহত ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। দেখা দিয়েছে বন্যা। পানি প্রবেশ করছে তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার। তবে একই পয়েন্টে সন্ধ্যা ৬টা থেকে পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এতে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গেছে উঠতি ফসলি জমি। পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর তিস্তায় সেই পানি প্রবেশ করায় নদী তীরবর্তী কিছু কিছু এলাকায় পানি প্লাবিত হয়েছে।

এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী,কাকিনা শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

এসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন উঠতি ফসলি জমি ডুবে গেছে।

সদর উপজেলা খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের তিস্তা এলাকার সুমন মিয়া জানান, উজান থেকে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে পানি। নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। পানি উঠেছে অনেক বাড়িঘরে।

তিস্তা গোবর্ধন চরের কৃষক সফিউল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যখন পানি চাই তখন পাই না, এখন বর্ষাকালে আমরা পানি দিয়ে কি করব।

আরেক কৃষক হেকমত আলী বলেন, প্রতি বছর বর্ষাকালে বন্যা আর নদী ভাঙনের শিকার হয়ে আমরা এখন দিশাহারা। প্রতি বছরই বাড়ি সরাতে হয়। এখন আর আমরা কোনো সহযোগিতা চাই না, আমরা চাই স্থায়ী বাঁধ। যাতে আমাদের আর বাড়ি সরাতে না হয়।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এ জন্য তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উজানের পানি ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে আমাদের বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হবে।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ