আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের ঘোষণা অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মহানগরীর কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে। ঈদের দিন দিবাগত রাত ১টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেছে রাসিক। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার পেলেন রাজশাহী মহানগরবাসী।
এ ব্যাপারে রাসিকের উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু জানান, এবার রাজশাহী মহানগরীতে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন কোরবানির বর্জ্য তৈরি হয়েছে। মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন স্যারের দিক-নির্দেশনা ও ঘোষণা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোরবানির শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করতে সম্ভব হয়েছি। ঈদের সকাল ১১টা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে পশু কোরবানির স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম শুরু করে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা। ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ২৮টি এসটিএস‘ নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যা থেকে রাত ১টার মধ্যে বর্জ্য নগরীর সিটি হাট সংলগ্ন ভাগাড়ে নিয়ে ফেলা হয়। আজ ও আগামীকাল যত কোরবানি হবে, তা থেকে তৈরি বর্জ্যও দ্রুত সময়ে অপসারণে আমরা প্রস্তুত আছি।
রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানিয়েছে, এবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডে পশু কোরবানির জন্য ২১০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়। কোরবানির বর্জ্য অপসারণে রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন বিভাগের ১৩৯৪ জন কর্মী কোরবানির বর্জ্য অপসারণ ও শহর পরিচ্ছন্ন কাজে নিয়োজিত রয়েছে। প্রায় ৪শ ভ্যান, ২টি স্টিড রোলার, ৬টি ট্রাক্টর ডবল ট্রলিসহ, ১৫টি হাইড্রোলিক ট্রাক, ২টি ওয়াটার ট্যাংকার এই কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। পশু কোরবানির স্থানগুলোতে পর্যাপ্ত ব্লিচিং পাওডার ছিটানো হচ্ছে।
এরআগে সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে নগরীর ১৮নং ওয়ার্ডের শারীরিক শিক্ষা কলেজ সংলগ্ন পবাপাড়া সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এরপর তিনি নগরীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ