ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানির চাপে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এতে হু হু করে পানি ঢুকে চর ও নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) বিকেল ৩টায় দেওয়া কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৮৫ সেন্টিমিটার, দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৮২ সেন্টিমিটার, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব নদ-নদীর তীরবর্তী নিচু অঞ্চলের বাদাম ও সবজি খেত তলিয়ে গেছে। ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহে জেলায় একটি স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১০২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিন জেলায় বজ্রসহ ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, কুড়িগ্রামে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে চরের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ