কোরবানি ঈদের আগেই লালমনিরহাট কালীগঞ্জে বেড়েছে মসলাজাত পণ্যের দাম। কোরবানি ঈদের আগে দাম বৃদ্ধিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে ক্রেতারা জানান, এটা ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তারা অধিক মুনাফার আশায় মসলা জাত পণ্য মজুদ রেখে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আজ শিয়ালখোওয়া হাটে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
কাঁচা বাজারের মসলা বিক্রেতা তামীম ইসলাম বলেন, ঈদের প্রতিটি মসলায় অনেক দাম বেড়েছে। রাতারাতি কেজিপ্রতি ২শ থেকে ২ হাজার টাকার পার্থক্য তৈরি হয়েছে। আমরা যেমন দামে কিনে আনি তেমনভাবেই বিক্রি করতে হয়। দাম বাড়ানো বা কমানোতে আমাদের তো হাত নেই।
আব্দুর রাজ্জাক নামের আরেক মসলা বিক্রেতা বলেন, ঈদ সামনে রেখে প্রতিবছরই মসলার দাম বৃদ্ধি পায়। এবারও এর ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। তবে এবারে দাম অনেকটা বেশি বেড়েছে এটাই সমস্যা।
মসলা কিনতে আসা সুলাইমান হোসেন বলেন, আমরা প্রতিবছর বড় হাঁড়িতে গরুর মাংস একসঙ্গে বেশি করে রান্না করি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মাংসের মসলা বেশি প্রয়োজন হয়। মাংস ছাড়াও ঈদের নানা আয়োজনে মসলা তো লাগেই। কিন্তু বাজারে মসলার যে দাম তা রীতিমতো ভয়ানক।
জব্বার নামের আরেক ক্রেতা বলেন, সবকিছুরই দাম বাড়ছে। মসলার বাজারে তো দামের আগুন আরও বেশি। কিছুই কেনার উপায় নেই। আর খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, আমরা ভারতীয় জিরা, আদা, চায়না রসুন বিক্রি করি। আমদানিকারকদের কাছ থেকে আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।আমদানিকারকরা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে ভারত অভ্যন্তরে জিরাসহ অন্যান্য মসলাজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দাম কয়েক দিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে দাবি করেন আমদানিকারকরা।
শনিবার (১৫ জুন) সকালে শিয়ালখোওয়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক মাস আগে মানভেদে জিরা বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ৫৭০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে। এখন সেই জিরাই কেজিতে ১৩০ টাকা বেড়ে ৭০০ থেকে ৭১০ টাকা কেজি দরে হচ্ছে। কালো এলাচ ২৬০০ থেকে ২৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন ১০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা কেজি দরে এবং সাদা এলাচ মাঝারি ৩৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা এখন কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৩৫০০ টাকা কেজি দরে, সাদা এলাচ বড় ধরনের ৪১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও তা কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ৪২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও দারুচিনি, লং, গোলমরিচ, ধনিয়া, কালো জিরা কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। এ দিকে আমদানিকৃত আদা এক সপ্তাহ আগে প্রতিকেজি ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৮০ টাকায়। প্রতিকেজি দেশীয় রসুন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও গতকাল বিক্রি হয়েছে ২৪০ টাকায়।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ