ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

লালমনিরহাটে তিস্তার পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

প্রকাশনার সময়: ১৫ জুন ২০২৪, ১২:৩৫ | আপডেট: ১৫ জুন ২০২৪, ১২:৩৮

ভারতের উজানের অব্যাহত ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। দেখা দিয়েছে বন্যা। পানি প্রবেশ করছে তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে।

শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ৫১ দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)।

তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি প্রবাহ বেড়ে একই পয়েন্টে সকাল ৯টা থেকে বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। সারাদিনে পানিপ্রবাহ আরও কিছুটা বেড়ে সন্ধ্যা ৬টায় ৫১ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।

তবে একই সময় তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় বিপদসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচে। এদিকে পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পরে সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরে রাতে পানি প্রবাহ আরও বৃদ্ধি পায়।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম জানান, ভারতের সিকিমে প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে সেখানে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। আর তিস্তায় সেই পানি প্রবেশ করায় নদী তীরবর্তী কিছু কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে।

জানা গেছে, তিস্তায় পানি বৃদ্ধিতে লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলায় কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ি ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়ন, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ইউনিয়ন, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি ইউনিয়ন, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী এবং পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। এসব ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী চরের বাদাম ক্ষেত, ধান বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলি জমিতে পানি প্রবেশ করেছে।

তিস্তা দোয়ানী গ্রামের কৃষক বুলবুল আহমেদ জানান, ভারতে বন্যা হয়েছে। ওই পানি যদি আমাদের বাংলাদেশের দিকে ছাড়ে তখন আমাদের এলাকায় বন্যা দেখা দিবে। এতে অনেক ক্ষতি হবে। যখন পানি চাই তখন পাই না, বর্ষাকালে আমরা পানি দিয়ে কী করব।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, ভারতের সিকিমে বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। এজন্য তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে উজানের পানি ব্যাপকহারে তিস্তা নদীতে প্রবেশ করলে বাংলাদেশ অংশের তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে বন্যা দেখা দিবে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ