ভারতে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ সকাল থেকে নদ-নদীপাড়ে নিম্নাঞ্চলগুলো পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪ গেট খুলে দেয়া হয়েছে। এতে ফসল নিয়ে আতঙ্কিত তিস্তা পাড়ের কৃষকেরা।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার। (স্বাভাবিক ৫২.১৫ সেন্টিমিটার) যা ১২ ঘণ্টায় তিস্তার পানি ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, তিস্তার পানি বাড়ায় আদিতমারী উপজেলায় গোবর্ধন ও হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, দোয়ানী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, সিঙ্গামারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী চরে বাদামক্ষেত, ধানের বীজতলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
তিস্তাপাড়ের কৃষক আবুল হোসেন বলেন, বর্তমানে তিস্তার পানি বাড়তেছে। পানি বাড়লে আমাদের জায়গা-জমির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হবে।
দোয়ানী গ্রামের কৃষক জিয়ারুল হক বলেন, ভারতে বন্যা হয়েছে। এ পানি যদি আমাদের দেশের দিকে ছাড়ে তাহলে অনেক ক্ষতি হবে। যখন পানি চাই তখন পাই না। বর্ষাকালে পানি দিচ্ছে এ পানি দিয়ে আমরা কী করব?
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, ভারতের সিকিমে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ