ঢাকা, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জিলহজ ১৪৪৫

শেষ মুহূর্তে কাউখালীতে জমে উঠেছে পশুর হাট

প্রকাশনার সময়: ১৪ জুন ২০২৪, ১৯:১১ | আপডেট: ১৪ জুন ২০২৪, ১৯:১৭

পিরোজপুরের কাউখালী সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে পশুর হাট বসেছে। শেষ মুহূর্তে শুক্রবার (১৪ জুন) হাটের দিনে উপজেলাসহ আশপাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারি ও স্থানীয়রা গরু বিক্রি করতে আসছেন। শেষ মুহূর্তে পুরোদমে চলছে গরু ও ছাগলের বেচাকেনা।

কাউখালী হাট বাজারের খাজনা স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন মহারাজ ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেওয়ায় বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে।

শুক্রবার সকাল ১০টায় কাউখালী সরকারি বালক বিদ্যালয়ের মাঠে গরুর হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতা হাফেজ মাসুম বিল্লাহ জানান, ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে কোরবানি পশু কিনতে হাটে এসেছেন। গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারসহ পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া ও রাজাপুর উপজেলায় গরু কিনতে হাটে গিয়েছিলেন তিনি। তার মনের মতন ও চাহিদার ভিতরে দাম না থাকার কারণে গরু কিনতে পারেনি, তাই আজকে কাউখালী বাজার থেকে তার পছন্দমত একটি গরু ১ লাখ দশ হাজার টাকায় কিনেছেন।

ক্রেতা মাসুম বিল্লাহ জানান, গত বছরের তুলনায় দাম তার কাছে একটু কম মনে হল।

গরু কিনতে আসা বাবুল ডিলার জানান, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ বছর অনেকেই কোরবানি দিতে পারবে না বলে তার ধারণা। কারণ ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি পছন্দমত একটি গরু ক্রয় করেছেন, দাম তার সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।

গরু বিক্রেতা উপজেলার শীর্ষ গ্রামের নুরুজ্জামান বলেন, আমি একটি গরু বাজারে এনেছি, তার দাম চেয়েছি ৫ লাখ টাকা, বাজারে দাম উঠেছে মাত্র ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা। গরুর পিছনে আমার যে খরচ হয়েছে পাঁচ লাখ টাকায় বিক্রি করেও তার লাভ হবে না। কারণ গরুর খাবারের অতিরিক্ত দাম।

উপজেলার গান্ডুতা গ্রামের খামারি মো. হেলাল উদ্দিন ২০টি গরু কোরবানির জন্য তৈরি করেছেন, এখন পর্যন্ত মাত্র চারটি গরু বিক্রি করেছে।

উপজেলা সদরের উজিয়াল খান গ্রামের উত্তম মৃধা কোরবানির জন্য ১৫ গরু তৈরি করেছেন, এখন পর্যন্ত মাত্র দুইটি গরু বিক্রি করতে পেরেছে।

খামারিরা বলেন, গরুর পিছনে আমাদের যে পরিশ্রম ও অধিক মূল্যে খাবার কিনতে হয় তা দিয়ে আমাদের পক্ষে গরু লালন-পালন করা সম্ভব না। আমরা এখন হতাশায় দিন কাটাচ্ছি। লাভের আশা দেখছি না। বাজারে দেশীয় গরুর সংখ্যা বেশি।

উপজেলা উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা শিশির কুমার রায় বলেন, হাটের দিনে আমরা তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু রেখেছি।

এদিকে হাটবাজার পরিদর্শন করেন কাউখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিয়া মনু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সজল মোল্লা, কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. হুমায়ুন কবির, কাউখালী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ