সংকটাপন্ন মুহুর্তে রক্ত না পেলে সময় নষ্ট করবেন না। ২৪ ঘন্টায় আমাদের পাশে পাবেন। প্রতিজ্ঞা করছি "নওগাঁর একটি রোগীকেও রক্তের অভাবে মরতে দেবো না"।
শুক্রবার (১৪ জুন) বেলা ১১টায় নওগাঁ শহরের প্যারিমোহন সাধারন গ্রন্থাগার মিলনায়তনে আয়োজিত বিশ্ব রক্তদাতা দিবসের আলোচনা সভায় এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁ ব্লাড সার্কেলের স্বেচ্ছাসেবী সৈয়ম আহমেদ সিয়াম। বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (বিআরএফ) এর সহযোগীতায় "মা তোমার সন্তানকে রক্ত দিতে নিষেধ করো না" প্রতিপাদ্যে নওগাঁ ব্লাড সার্কেল এই আয়োজন করে।
নওগাঁ ব্লাড সার্কেলের প্রতিষ্ঠাতা সৈয়ব আহমেদ সিয়াম বলেন, স্বেচ্ছায় রক্তদান এক মহৎ কাজ। রক্তের অভাব একজন ব্যক্তির জীবনকে বিপদে ফেলতে পারে। রক্তের প্রয়োজনে সময়মতো রক্ত সরবরাহ করা না হলে একজনের জীবনও হারাতে পারে। রক্তের ঘাটতি পূরণ করে রক্তদানের মাধ্যমে জীবন বাঁচানো যায়। এই কারণে মানুষকে রক্তদানের জন্য সচেতন করা হয়, যাতে একজন সুস্থ মানুষ প্রয়োজনে রক্ত দান করতে পারে এবং একটি জীবন বাঁচাতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত আমাদের সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবীরা ৫ হাজার ৩০০ ব্যাগের বেশি রক্ত সরবরাহ করেছেন। বর্তমানে প্রতি মাসে নিয়মিত ২২ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে রক্ত সরবরাহ করা হচ্ছে। আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. তারিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, "ব্যস্ততায় সুস্থতা। তাই পজিটিভ কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখে সমাজের সেবা করা উচিত। তোমার সাফল্যের পেছনে তুমি একা দায়ী নয়। এর সঙ্গে তোমার মা-বাবা, স্কুল শিক্ষক, প্রতিবেশিসহ অনেকের অবদান রয়েছে। তাই, এই দেশের জনগণের জন্য তোমাদের কিছু অবদান রাখা উচিত।"
আলোচনা সভা শেষে নওগাঁ ব্লাড সার্কেলের মেধাবী সদস্য যারা দেশের বিভিন্ন সুনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে তাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। এবছর ইঞ্জিনিয়ারিং, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে চান্সপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নওগাঁ ব্লাড সার্কেলের সাধারন সম্পাদক মো. নাহিদ হাসান সহ স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা বক্তব্য রাখেন।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ