ঈদুল আজহায় মাগুরায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৬৯ হাজার ৬৬৮টি, সেখানে গবাদি প্রাণি প্রস্তুত আছে ৯২ হাজার ৮৯১টি। সেখানে দেখা যাচ্ছে প্রায় ২৫ % প্রাণি উদ্বৃত থাকবে। সে সকল প্রাণি জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা সরবরাহ করা হবে।
তবে দিন যত ঘনিয়ে আসছে কোরবানির পশুর হাট তত জমজমা হয়ে উঠছে। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা এসব গরু আকারেও যেমন বড় দামও চড়া। গরুর হাটগুলোতে বড় গরুর যোগান থাকলেও মাঝারি ধরণের গরুর চাহিদা বেশি বলছেন ক্রেতা বিক্রেতারা।
বুধবার (১২ জুন) মাগুরা সদর উপজেলা কাটাখালি গরুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের গরুর রয়েছে এ বাজারে। তবে গরুর সংখ্যা বেশি হলেও তেমন ক্রেতা নেই বাজারে। যারা আসছেন তাদেও বেশির ভাগেরই চাহিদা ছোট ও মাঝারি আকারের গরু। বাজারে ছোট আকারে গরু ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকা, মাঝারি আকারের গরু ৮০ থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাগুরা শিবরামপুর গ্রামের গরু খামারি অনুপ কুমার দত্ত বলেন, লাভের আশায় তিন বছর ধরে ৫টি গরু মোটা তাজা করেছি। গরুগুলোকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাপারীরা এসে দেখছেন দামও করছেন। তবে পত্তামত হচ্ছে যে কারণে বিক্রি করতে পারছি না। আশা করছি ঈদের আগেই ভাল দামে গরুগুলো বিক্রি করতে পারবো।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মিহির কান্তি বিশ্বাস বলেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জেলায় কোরবানির গবাদি পশুর চাহিদা রয়েছে ৯২ হাজার ৮৯১টি। কোরবানি উপলক্ষে ১৮টি হাট বসেছে। হাটগুলোতে ভেটেনারি চিকিৎসক রয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে পশু কেনা বেচা করতে পারবে খামারিরা।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ