সিরাজগঞ্জের তাড়াশের বিভিন্ন হাট বাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই অখুশি। ক্রেতারা বলছে, পশুর দাম অনেক বেশি, অপরদিকে বিক্রেতারা বলছে, পশু খাদ্যসহ সব কিছুর দামই বেশি কিন্তু সেই হিসাবে পশুর দাম অনেক কম। এ বছর ভারতীয় গরু না আসায় হাটগুলোতে প্রচুর দেশীয় পশু উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাড়াশ উপজেলায় প্রতি বৃহস্পতিবার নওগাঁ হাট, মঙ্গলবার গুল্টা হাট, সপ্তাহে দুদিন সোমবার ও শুক্রবার তাড়াশ পৌর সদরের হাটে অনেক পশু উঠেছে। অপরদিকে উপজেলার বেশ কয়েকটি হাট বাজারে ঘুরে উপজেলার প্রাণি সম্পদের লোকজনদের চোখে পড়লেও কোনো পশুকে পরীক্ষা করা চোখে পড়েনি। এজন্য হাটে আগত ক্রেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ অসুস্থ পশু ক্রয় করে মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
তাড়াশ পৌরসভার ভাদাশ গ্রামের খামারি আছের জানান, হাটে ৭টি গরু আনছি। ক্রেতার আনাগোনা ভালো হলেও দাম কম বলছে। যে দাম বলছে তাতে আমাদের চালান উঠবে না, লাভতো দূরে থাক। ঈদের আগ পর্যন্ত যদি দাম এরকমই থাকে, তাহলে লস হবেই। আর সামনে আরও হাট নেই, ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি কোরবানির আগে পশুগুলো বিক্রি করা নিয়ে।
তাড়াশ পৌর সদরের আরও এক খামারি হরনাথ জানান, কোরবানির ঈদের প্রায় ৭ মাস ধরে ৪টা গরু লালন-পালন করছি। বিক্রির সময় এসে ভয়ে আছি। ক্রেতারা যেভাবে দাম বলছে তাতে চালানও উঠবে না।
পশু ক্রয় করতে আসা আব্দুর রহিম, সাইদুর রহমার, চান্দুসহ একাধিক ক্রেতা জানান, বাসায় পশু পালনের জায়গা না থাকায় বিক্রেতার কাছেই পশু লালন-পালনের দায়িত্ব দিয়ে দেই। আর এজন্যই আমরা তাড়াশের হাট থেকে পশু কিনে থাকি। বিক্রেতারা পশুর দাম অনেক বেশি চাচ্ছে। যেহেতু সামনে আর তেমন হাট নেই, তাই এর মধ্যেই দেখে শুনে পশু কিনতে হবে।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ