সারাদেশে এর মধ্যেই বোরো ধান কাটা শেষ। তবে সামনে রোপা-আমন ধানের মৌসুম। প্রকৃতিতে হালকা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। বৃষ্টির পানিতে বীজতলা তৈরির উপযুক্ত সময়। তাই কৃষকেরা ধানের চারার জন্য বীজতলা প্রস্তুত করেছেন।
কিশোরগঞ্জের হোসনপুরের কৃষকেরা আমন ধানের বীজতলা তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ভালো বীজতলা করতে পারলেই মিলবে ভালো চারা। তাই রোদ পড়ে এমন উর্বর ও সেচ সুবিধাযুক্ত জমি বীজতলার জন্য নিবার্চন করেন চাষিরা। চাষের আগে প্রতি বর্গমিটার জায়গার জন্য ২-৩ কেজি জৈব সার দিয়ে ভালোভাবে জমি তৈরি করে থাকে। পানি দিয়ে জমিকে কাদা করে এক মিটার চওড়া এবং জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে লম্বা করে ভেজা বীজতলা তৈরি করা হয়। বীজ বপন করার আগে ৬০-৭০ ঘণ্টা ধান ভালোভাবে জাগ দিয়ে রাখতে হয়। এসময় ধানের অঙ্কুর গজাবে। অঙ্কুরিত বীজ বীজতলায় ছিটিয়ে বপন করতে হয়। প্রতি বর্গমিটার বীজতলার জন্য ৮০-১০০ গ্রাম বীজের প্রয়োজন হয়।
হোসনপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে রোপা-আমন ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সরেজমিনে সোমবার উপজেলার চরকাটি হারী, চর হাজিপুর, সাহেবর চর, জিনারি হোগলাকান্দিসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষকেরা রোপা-আমন ধান চাষের জন্য র্পূব প্রস্ততি হিসেবে বীজতলা তৈরি করছেন।
উপজেলার চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান চাষের আশায় বুক বেধে ধানের বীজ বপন করেছি।
চরকাটি হারী গ্রামের চাষি হাসিবুল ইসলাম বলেন, এ বছর আগের তুলনায় বেশি পরিমাণ জমিতে আমন ধান চাষ করবো।
আরেক চাষি কামরুল ইসলাম বলেন, আমন ধান চাষে অনেক খরচ কম, আমাদের এই অঞ্চলের প্রায় কৃষকই বর্গাচাষি। তাদের নিজের জমি নেই, এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে অন্যের জমি লিজ নিয়ে চাষ করে থাকে। দেশে অনুকূল আবহাওয়া ও বীজ, সারের দাম কম থাকায় আমন ধান চাষে উৎসাহ বাড়ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাজাহান কবির জানান , বিগত বছরগুলোতে এ উপজেলায় রোপা-আমন ধানের ব্যাপক আবাদ করা হয়। আশা করছি এ বছর ও আমন ধানের ব্যাপক আবাদ হবে।
নয়া শতাব্দী/এনএইচ/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ