টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনগামী একটি বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করেছে মিয়ানমার। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে ট্রলারটির বিভিন্ন স্থানে সাতটি গুলি লেগেছে।
নাফ নদীর বদরমোকাম মোহনায় নাইক্ষ্যংদিয়া নামক এলাকায় শনিবার (৮ জুন) দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রশিদের মালিকাধীন পণ্যবাহী ট্রলারটি সেন্টমার্টিন যেতে না পেরে টেকনাফ ফিরে এসেছে।
এসব তথ্য নিশ্চি করেছেন সেন্টমার্টিন সার্ভিস ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, শনিবার দুপুরে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালীয়া খাল থেকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে ‘এসবি রাফিয়া’ চারজন মাঝিসহ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে ট্রলারটি টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথের বদরমোকাম এলাকায় পৌঁছলে মিয়ানমারের নাইক্ষ্যংদিয়া থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয়। এ সময় এসবি রাফিয়াকে লক্ষ্য করে ২০ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়। পরে মাঝি মোহাম্মদ বেলাল ট্রলারটি ঘুরিয়ে শাহপরীর দ্বীপ জেটিতে ট্রলারটি নোঙর করেছেন।
ট্রলারের মাঝি মোহাম্মদ বেলাল বলেন, বুধবার (৫ জুন) রাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের স্থগিত কেন্দ্রের নির্বাচনী কর্মকর্তা ও সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার সময় একই ট্রলারকে লক্ষ্য করে শতাধিক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। শনিবার পুনরায় ওই ট্রলারে করে পণ্য নিয়ে সেন্টমার্টিন যাওয়ার সময় মিয়ানমারের উপকূল থেকে ট্রলারকে লক্ষ্য করে ২০ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করা হয়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, নৌপথে চলাচলকারী সার্ভিস ট্রলারকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এখন নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এ নৌপথে ট্রলার চলাচল স্বাভাবিক করতে ওই এলাকায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বিজিবির টহল জোরদার করার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গুলির বিষয়টি শুনেছি। সার্ভিস ট্রলারকে গুলিবর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বিজিপির কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ