পাবনায় সিএনজি স্ট্যান্ডের দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ১৪ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (৮ জুন) সকালে সুজানগর উপজেলার কাদোয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে কাদোয়া সিএনজি স্ট্যান্ড দখল করে আছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব সম্প্রতি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই একপর্যায় শনিবার সকাল ১০টার দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের ১৫ আহত হন।

আহতরা হলেন- তাজু প্রামাণিক (৪৫), আলাউদ্দিন প্রামাণিক (৫০), হেলেনা খাতুন (৪০) আশিকুর রহমান শুভ (২১), মাসুম শেখ (৩৪), শরিফুল ইসলাম (৩০), সাদ্দাম হোসেন (৩০) দেলোয়ার হোসেন (৩৫), সলিম প্রামাণিক (৩৫), ইসিম প্রামাণিক (৪০), সুমন প্রমানিক (৩৮), মনির উদ্দিন প্রামাণিক (৬৩) এবং উজ্জল কাজী (৪০)।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, এটা রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়, স্থানীয়ও ব্যাপার নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এখন সুজানগরে যাই ঘটুক শাহিনুজ্জামান শাহীন আমার ওপর চালিয়ে দিচ্ছে। দুইদিন পর তার বউয়ের সঙ্গে তার ঝামেলা যদি হয় সেটাও সে আমার ওপর দিয়ে চালিয়ে দিবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, নির্বাচনের পর থেকেই আমার লোকজনদের ওপর ধারাবাহিকভাবে হামলা ও মারধর করা হচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজকেও হামলা হয়েছে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই।

পাবনার সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, শাহীন গ্রুপ ও ওহাব গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এখনো কোন পক্ষেরই লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ