ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১, ৮ রজব ১৪৪৬

বেনজীরের পুকুর থেকে প্রায় লাখ টাকার মাছ চুরির চেষ্টা 

প্রকাশনার সময়: ০৮ জুন ২০২৪, ১৫:২৯ | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪, ১৭:১৭

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের পুকুর থেকে চুরির সময় প্রায় ৬০০ কেজি মাছ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে জব্দকৃত মাছ বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা জমা দেওয়া হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (৮ জুন) ভোর ৫টার দিকে দুদকের গোপালগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয় অভিযান পরিচালনা করে ওই মাছ জব্দ করে।

এ ঘটনায় রিসোর্টের মৎস্য হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সোহরাব হোসেন সোহেল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

রিসোর্টের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম বলেন, সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের ক্রোক ও ফ্রিজকৃত সম্পদের রিসিভার নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান থাকাবস্থায় ক্রোককৃত সম্পত্তির মধ্যে রিসোর্টের অভ্যন্তরে পুকুরের মাছসহ বিভিন্ন সম্পদ চুরি করছেন মর্মে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়। বিষয়টি দুদককে অবহিত করা হলে গোপালগঞ্জ দুদকের একটি টিম রিসোর্টে তদন্তে করতে এসে ২০ একরের পুকুরে মাছ ধরা দেখতে পায়।

এই কর্মকর্তা বলেন, মাছ জব্দ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছের মধ্যে ৫৫৫ কেজি তেলাপিয়া মাছ ও ৩৭.৫০ কেজি কাতলা মাছ রয়েছে।

গোপালগঞ্জ দুদক অফিস সূত্রে জানা যায়, দুদক টিম আসার খবর পেয়ে আসামিসহ সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যায়। মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উক্ত রিসোর্টের মৎস্য হ্যাচারি কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তারা মাছ ধরছেন। মাছ পচনশীল হওয়ায় সেখানে উপস্থিত গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে জব্দ মাছ উপস্থিত মৎস্যজীবীদের মধ্যে নিলামে বিক্রি করে ৮৩ হাজার ৭৫৪ টাকা সরকারি খাতে জমা দেওয়া হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ