ঢাকা, রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

তাড়াশে টুংটাং শ‌ব্দে মুখ‌রিত কামারপাড়া

প্রকাশনার সময়: ০৮ জুন ২০২৪, ১৫:০০ | আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪, ১৫:০৩

সিরাজগঞ্জের তাড়া‌শের কামারপাড়ার কা‌রিগররা ব‌্যস্ত সময় পার কর‌ছেন। যে‌হেতু আর ক‌য়েক‌দিন প‌রেই ঈদুল আযহা। তাই ঈদের চা‌হিদার কথা বি‌বেচনা ক‌রে চাপা‌তি, চাকু, ব‌টিসহ লোহার সরঞ্জাম তৈরী‌তে ব‌্যস্ত সময় কাটা‌চ্ছেন তারা। বছ‌রের এই সময়টায় চা‌হিদা বেশী থাকায়, কামাররা ভা‌লো উপার্জন ক‌রে থা‌কেন। যে‌হেতু কোরবা‌নির পশু জবাই করতে চাই চাপা‌তি, ধারা‌লো চাকু, ব‌টি। কয়লার চুলার দগদ‌গে আগু‌নে গরম লোহার পিটা‌পি‌টি‌তে টুংটাং শ‌ব্দে মুখর হ‌য়ে উঠে‌ছে কামারশালাগু‌লো।

কোরবা‌নির ঈদে এলে আশায় বুক বাঁ‌ধে তারা, কারণ এসময় তা‌দের বাড়‌তি আয় হয়। কোরবা‌নির সময় পশু জবাই করারা জন‌্য লোহার তৈরী চাকু, ব‌টি, চাপা‌তির প্রয়োজন হয়। তাই এসব জি‌নি‌সের চা‌হিদাও বে‌ড়ে যায় বহু গুন, সঙ্গত কার‌নে এইসব জি‌নিস তৈরী করার জন‌্য কামার‌দের দম ফেলার ফুসরত থা‌কে না। চাপা‌তি প্রতি পিস বি‌ক্রি হয় ৫০০ থে‌কে ৮০০ টাকা, ব‌টি ৩০০ থে‌কে ৪৫০ টাকা, ছু‌রি ১৫০ থে‌কে ২০০ টাকা। আবার কেউবা পু‌রো‌নো চাকু, বাট‌িতে শান দেয়ার জন‌্য কামার‌দের শরনাপন‌্য হ‌চ্ছেন। তাড়াশ উপ‌জেলার ৮ টি ইউ‌নিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় র‌য়ে‌ছে অনেকগু‌লো কামারশালা।

কা‌জের ব‌্যস্ততা সম্প‌র্কে পৌর সদ‌রের মা‌নিক কামার ব‌লেন, সারা বছর খুব একটা কাজ কর্ম থা‌কেনা। ঈদের এই সময়টার জন‌্য আমরা অ‌পক্ষোয় থা‌কি। কারন এই সম‌য়ে আমরা বাড়‌তি কিছু আয় ক‌রি যা দি‌য়ে সারা বছ‌রের সংসারের অন‌্য খরচ মেটাই। প্রায় সকল গ্রাহকই শেষ সময়ে এসে চাপ দেয়, ত‌বে য‌দি তারা কিছু‌দিন আগে থে‌কে আস‌তেন তাহ‌লে আমা‌দের সু‌বি‌ধা হ‌তো। বর্তমা‌নে দি‌নে রা‌তে সমান ভা‌বে কাজ কর‌ছি, নাওয়া খাওয়ার সময়ও পা‌চ্ছি না! তারপ‌রও প‌রিবা‌রের কথা চিন্তা ক‌রে ঈদের আগের রাত পর্যন্ত এভা‌বে কাজ ক‌রে যাব।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ