গাজীপুরের শ্রীপুরে তালাবদ্ধ স্বামীর ওষুধের দোকানের ভেতর থেকে রেহেনা আক্তার (২৭) নামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহের পাশেই পড়ে ছিল একটি বটি। ঘটনার পর নিহতের স্বামী কিবরিয়া পলাতক রয়েছেন।

শুক্রবার (৭ জুন) রাত পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের ক্যাপ্টেন সিএনজি উত্তর পাশে মোস্তফা কামাল মার্কেটের একটি ওষুধের দোকান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত রেহেনা আক্তার গোপালগঞ্জের মৃত ইদ্রিস আলী ভূইয়া মেয়ে ও যশোর জেলার মো. কিবরিয়ার (৪০) স্ত্রী। কিবরিয়া মোস্তফার কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে বসবাসসহ ওষুধ, বিকাশ ও মোবাইলের লোডের ব্যবসা করতো।

মার্কেটের মালিক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আজ সারা দিন ফার্মেসি বন্ধ থাকায় অনেক মানুষ দোকান থেকে ওষুধ ও মোবাইল ফোনে লোড করতে এসে ফিরে যায়। এরপর পাশের মুদি দোকানি সোহেল আমাকে বিষয়টি জানায়। পরে তাকে বলি কী হয়েছে তা দেখার জন্য, এরপর শাটারের নিচ দিয়ে দোকানের ভেতর দেখে আলো জ্বালানো, একজন নারী পড়ে আছেন। পরে সে আমাকে খবর দেয়। সন্দেহ হলে মেয়ের জামাতা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে তালা ভেঙে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।’

মোস্তফা কামালের মেয়ে মনি বলেন, ‘কিবরিয়া সাত মাস আগে আমাদের বাসায় রুম ভাড়া নেয়, কিন্তু চার মাস থাকার পর রুম ছেড়ে দেয়, দোকানে বসবাস ও ব্যবসা শুরু করে কিবরিয়া। তিন দিন যাবৎ স্ত্রী এখানে আসেন। ঈদের আগেরও একবার রেহেলা আসছিল।তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি বিষয়ে তেমন কিছু বলতে পারেনি।’

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহের পাশ থেকে একটি ধারালো বটি উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ফেলে পালিয়েছে। স্বামীকে গ্রেপ্তার চেষ্টা চলতেছে। এ বিষয়ে পরবর্তীতে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ