ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

রূপগঞ্জে এবার চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত

প্রকাশনার সময়: ০৫ জুন ২০২৪, ২১:১২ | আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪, ২১:২৩

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এবার চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। রূপগঞ্জে ছোটবড় প্রায় ২ হাজার খামারি কোরবানির পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সর্ম্পূণ প্রাকৃতিক উপায়ে কোনো রকম স্ট্রয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন না করিয়ে এবছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাহিদার চেয়ে বেশি গরু, ছাগল, মহিষ ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। সরাসরি খামার থেকে বেচাকেনা ছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে এবার অন্যান্য বছরে তুলনায় গো খাদ্যের দাম কিছুটা বেশি বলে গরুর দামও একটু চড়া দাবি করেছেন খামারিরা।

দেশের বাহির থেকে কোনো প্রকার গবাদিপশু দেশে প্রবেশ না করে সেদিকে সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় খামারিরা। অন্যথায় অনেকটা লোকসানের মুখে পড়বেন বলে দাবি তাদের।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে রূপগঞ্জে রহিমা মোজাফ্ফর ক্যাটেল ফার্ম, নাবিল এগ্রো ফার্ম, সওদাগর ক্যাটেল ফার্মসহ ছোট বড় সরকারি তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত ছাড়া কমপক্ষে ২ হাজার খামারে প্রস্তুত করা হয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৭ টি পশু। এরমধ্যে দেশীয় জাতের ছাড়াও রয়েছে শাহী ওয়াল, পাকিস্তানি রাতি, গীর, অলস্টিল ফিজিয়ান, আমেরিকার ডেক্সটারসহ বিভিন্ন জাতের ৮ হাজার ১৮১টি গরু। ছাগল, মহিষ ও ভেড়া রয়েছে মোট ৭ হাজার ৭০৬টি। আর পুরো উপজেলার কোরবানির পশুর চাহিদা ১৫ হাজার ৫০০টি। এবার উপজেলার চাহিদার চেয়েও এখানে বেশি প্রস্তুত করা হয়েছে কোরবানির পশু।

প্রতিদিন সকালে থেকে রাত অবধি সেই পশুদের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারে নিয়োজিত লোকজনেরা। গরু দ্রুত মোটা তাজা করতে হরমোন ইনজেকশন ও রাসায়নিক প্রাণঘাতী ষ্ট্রয়েড জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ না করে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পশুদের মোটাতাজা করতে কাচা ঘাস, খৈল, চালের ভুষি, গমের ভূষি, ছোলা, সয়াবিন ও খড় খাওয়ায়ে লালন পালন করছেন বলে জানান খামারিরা।

রহিমা মোজাফ্ফর ক্যাটেল ফার্মের ম্যানেজার আব্দুল গাফ্ফার বলেন, এবছর গো-খাদ্যসহ সব ধরনের দ্রব্য সামগ্রীর দাম উর্দ্ধগতি হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় পশু পালনে খরচ অনেকটা বেশি পড়ছে। সেজন্য দামও কিছুটা বেশি চাওয়া হচ্ছে। সরাসরি খামার ছাড়াও অনলাইনের মাধ্যমে এখানকার খামার গুলোতে পশু বেচাকেনা হচ্ছে।

সিনথিয়া ক্যাটেল ফার্মের মালিক পনির হোসেন বলেন, দেশের বাহির থেকে যদি কোরবানির জন্য পশু আমদানি করা হয় তবে এখানকার খামারিরা লাভের মুখ না দেখে লোকসান গুনতে হবে। সেজন্য গো-খাদ্যসহ সকল দ্রব্য সামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ও দেশের বাহির থেকে যেন কোনো প্রকার পশু দেশে আসতে না পারে সেজন্য সরকার ও প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।

এব্যাপারে রূপগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রিগান মোল্লা বলেন, এবছর রূপগঞ্জের চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। মোটাতাজা করতে কোনো প্রকার ষ্ট্রয়েড জাতীয় ঔষধ যাতে গবাদিপশুগুলোর মধ্যে প্রয়োগ না করতে পারে সেজন্য সার্বক্ষণিক উপজেলা প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর নজরধারী রেখেছে।

এখানকার খামারিরা নিয়মিতভাবে আমাদের কাছে পরামর্শ নিয়ে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে খামারে গবাদিপশুগুলো মোটাতাজা করেছে। তা ছাড়া দেশের বাহির থেকে যাকে কোনো পশু না আসতে পারে সেজন্য প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর সার্বক্ষণিক নজরধারী রাখছেন।

নয়া শতাব্দী/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ