ঢাকা, রবিবার, ৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬

দিনমজুরি করে জিপিএ ৫, প্রকৌশলী হতে চায় ইয়াকুব

প্রকাশনার সময়: ০৩ জুন ২০২৪, ১৮:১৪ | আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪, ১৯:৩৭

বাবা মায়ের সঙ্গে দিনমজুরের কাজ করে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ইয়াকুব আলী। ভালো ফলাফল অর্জন করলেও ভবিষ্যতে পড়াশোনার খরচ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশায় রয়েছে এই মেধাবী ছাত্র। ছেলের ভবিষ্যৎ শিক্ষার খরচ কীভাবে জোগাবেন এ নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ মা-বাবার কপালে।

ইয়াকুব আলী নীলফামারীর ডোমারের সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর খাটুরিয়ার ভূমিহীন দিনমুজুর হায়দার আলীর ছেলে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয় ইয়াকুব। এবার তিনি এসএসসি পরীক্ষায় খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, ছোটবেলা থেকে বাবা মায়ের সঙ্গে দিনমুজুরের কাজ করে পড়াশোনা করেছে ইয়াকুব। নিজে থেকে অদম্য উৎসাহ নিয়ে পড়াশোনা করেছে। তার এমন সফলতায় এলাকাবাসী আনন্দিত। আর্থিক সহযোগীতা পেলে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন তারা।

খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আ.ফ.ম জাকারিয়া বলেন, অনেকের আর্থিক সহযোগিতায় পড়াশোনার খরচ চালিয়ে এসেছে ইয়াকুব। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

ইয়াকুবের বাবা হায়দার আলী বলেন, নিজস্ব বসতভিটে না থাকার পরেও অন্যের জমিতে বাড়ি করে কষ্টে ছেলেকে এ পর্যন্ত পড়িয়েছি। ছেলের পড়াশোনার আগ্রহ থাকলেও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে কলেজে পড়ানোর সামর্থ্য নেই।

ইয়াকুব আলী জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে বাবা মায়ের সঙ্গে দিনমুজুরের কাজ করে গেছেন। কঠিন পরিশ্রম করার পরেও পড়াশোনা বাদ দেননি। ইয়াকুবের স্বপ্ন একজন প্রকৌশলী হওয়া। তাই তিনি বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। তবে প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও আর্থিক অসচ্ছল হবার কারণে শুধু স্বপ্নেই থেকে যেতে পারে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, আর্থিক সমস্যার কারণে যেনো কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা শেষ হয়ে না যায়। সেজন্য উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।

নয়া শতাব্দী/এনএইচ/এসআর

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ