ঢাকা, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১, ১ রবিউস সানি ১৪৪৬

নদী ভাঙনে দিশেহারা তিস্তাপাড়ের মানুষ

প্রকাশনার সময়: ০৩ জুন ২০২৪, ১৩:২৩

ভারতের উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিতে লালমনিরহাট আদিতমারী উপজেলায় তিস্তা নদীতে বৃদ্ধি পাওয়া পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ । নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতভিটা,ফসলি জমি ও গাছপালা।

ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন সমাবেশ করে ভিটেমাটি রক্ষার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, বরাদ্দ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (৩ জুন) সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছে নদীভাঙন। আদিতমারী উপজেলার বাহাদুরপাড়া ও গরিবুল্লাহপাড়া এলাকার ছয়টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবারের বাড়িঘর। নদীতে বিলীন হচ্ছে ধান, ভুট্টা, পাট, মরিচ ক্ষেতসহ ফসলি জমি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত তিনদিনের উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার চরসহ তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ওঠে। বিস্তীর্ণ বাদাম, মিষ্টিকুমড়া, ভুট্টাক্ষেতসহ নানান ফসলি জমি পানিতে ডুবে যায়। এতে কৃষকদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এছাড়া একই উপজেলার মহিষখোচা ও কাকিনা নদী তীরের ছয়টি বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন দেখা দেওয়ায় ঘরবাড়ি ভেঙে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেন পাড়ের বাসিন্দারা। ভাঙনের ফলে ফসলি জমিও নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে। এ ছাড়া হুমকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবার।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে বারবার পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। গত দুই সপ্তাহ থেকে ভাঙন চললেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পাউবো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ভাঙন রোধে দ্রুত সময়ে জিও ব্যাগ ফেলে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। আমরা বারবার পাউবোকে অনুরোধ করেছি। তারা আশ্বাস দিয়েও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। দ্রুত জিও ব্যাগ ফেলে হলেও ভাঙন না আটকালে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব।

আদিতমারী এলাকার গোবর্ধন এলাকার কৃষক সুফিয়ার রহমান বলেন, চরে এ বছর মরিচ, ভুট্টা ও পেঁয়াজ আবাদ করেছিলাম। হঠাৎ পানিতে ডুবে গিয়ে আমার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, আমরা ভাঙনের ভিডিওসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠিয়েছি। বরাদ্দের আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় বরাদ্দ আসায় জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে যথাযথ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে খোঁজখবর অব্যাহত রয়েছে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ