লালমনিরহাট সদরে কাঁচা মরিচের দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। জেলার বিভিন্ন বাজার কাঁচা মরিচের প্রতি কেজি প্রকারভেদে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও যেখানে ১১০ টাকার কম কেজি ধরে বিক্রি হয়েছে। হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের এমন দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
বুধবার (২৯ মে) কালীগঞ্জ উপজেলার শিয়ালখোওয়া কয়েকটি বাজার ঘুরে এবং খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
ক্রেতারা বলছেন, কয়েকদিন আগেও ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। ঈদের আগে সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তারা।
বিক্রেতারা বলছেন, বছরের শুরুতে প্রচণ্ড খরা, এখন অধিক বৃষ্টির কারণে ফলন বিপর্যয়ে উৎপাদন কম হওয়ায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে।
সকালে জেলার চাপারহাট বাজারে গিয়ে কথা হয় ক্রেতা নুরুজ্জামান আহমেদ সঙ্গে। তিনি জানান, বাজারে কাঁচা মরিচের দাম শুনলে কেনার সাধ মিটে যায়। আগে যেখানে ২০ টাকার মরিচ কিনলে আড়াইশ গ্রাম পেতাম, সেখানে এখন ৫০ টাকা দিয়ে আড়াইশ গ্রাম নিতে হচ্ছে। বাজারে সব থেকে এখন দামি পণ্য কাঁচা মরিচ।
পাশেই দাঁড়ানো হানিফ মিয়া বলেন, কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেশি। প্রয়োজনে কাঁচা মরিচ ছাড়াই রান্না হবে। এত দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ কেনা আমাদের মতো নিম্নআয়ের মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। পরে তিনি কাঁচা মরিচ ছাড়া বাকি তরিতরকারি নিয়ে চলে যান।
শিয়ালখোয়া বাজারে কয়েকজন কাঁচা মরিচ ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে মরিচের চাষ কম হওয়ায় এবং চাহিদা অনুযায়ী বাইরে থেকে আমদানি কম হওয়ায় কাঁচা মরিচের বাজার এতটা বেড়ে গেছে। তারা আরও জানান, কাকিনা চন্দ্রপুর চাপারহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলার নানা স্থান থেকে আমরা কাঁচা মরিচ আমদানি করে থাকি। এখন আর আমদানি করাও সম্ভব হচ্ছে না। সেখানেই দাম বেশি। মরিচের সিজন শেষ পর্যায়ে। এ সময় এমনিতেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা কাঁচা বাজারের সামনে কথা হয় বাজার করতে আসা শরৎচন্দ্র সঙ্গে তিনি বলেন, মরিচের কেজি প্রায় ২৩০ টাকা। সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এভাবে সকল পণ্যের দাম বাড়তে থাকলে আমরা যারা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক তাদের বাজার করে খেয়ে বেঁচে থাকার মত অবস্থা নেই।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ