সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও হাঁপানীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজা খুলেনি কোনও শিক্ষক । অসহায়ের মতো শিক্ষকদের আসার অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
সোমবার (২৭মে ) সকাল সাড়ে ১১টায় বিদ্যালয়ের বারান্দায় ছাত্র-ছাত্রীদের বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় উপজেলায় কর্মরত শফিকুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিক নিজের ফেইসবুকে লাইভ করলে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। লাইভে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় সাংবাদিককে। ছাত্র-ছাত্রীরা লাইভে এসে জানায়, শুধু আজকেই এমনটি হয়নি। শিক্ষকরা প্রতিদিন সকাল ১১টার আগে বিদ্যালয়ে আসেন না। আর দুপুর ২টায় বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে চলে যান তারা। আজকে প্রধান শিক্ষক না থাকায় তারা (শিক্ষকরা) কেউয়েই আসেননি এখনও পর্যন্ত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাঁপানীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাধব চন্দ্র সরকার বলেন, আমি আজকে আগামী পাঁচ দিনের জন্য উপজেলা সদরে শিক্ষকদের একীভূত ট্রেনিংয়ে আছি। গতকাল রোববার (২৬ মে) আমার ট্রেনিংয়ের বিষয়টি আমার বিদ্যালয়ের তিন সহকারী শিক্ষককে অবগত করেছি। আমার পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করবে সহকারী শিক্ষক বিপ্লব মিয়া। তারা তিন জনেরই আজকে বিদ্যালয়ে থাকার কথা। আমি বিদ্যালয়ে না থাকলে এমন অভিযোগ হর হামেশাই পাই।
সহকারী শিক্ষক বিপ্লব মিয়ার জানান, ‘আমি অসুস্থ থাকায় আজকে বিদ্যালয়ে যেতে পারিনি। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদকে মোবাইলে কল দিলে তিনি সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে গেলে সাংবাদিককে দেখে নেবেন। ধারেকাছে পেলে সাংবাদিককে মারারও হুমকি দেন তিনি।’
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল আওয়াল বলেন, হাঁপানীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী তিন শিক্ষক বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের শোকজ করা হবে। সাংবাদিকদের গালিগালাজ করে থাকলে তার কঠিন বিচার করা হবে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ