ঘূর্ণিঝড় রিমাল প্রচণ্ড গতি নিয়ে ধেয়ে আসছে দক্ষিণ উপকূলের দিকে। এর প্রভাবে উপকূলজুড়ে শুরু হয়েছে বর্ষণ আর বাতাসের তীব্রতা।
রোববার (২৬ মে) সকাল ১০টায় পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি ২৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। তাই পায়রা বন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফেরাতে চলছে মাইকিং। তবে এদিন সকাল থেকে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই দফা উচ্চ জোয়ারের প্রভাবে পানি প্রবেশের ফলে তলিয়ে যাচ্ছে নিম্নঞ্চলসহ গ্রামের পর গ্রাম। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে একাধিক বেরিবাঁধের বাইরে থাকা ঘরবাড়ি ও শতাধিক মাছের ঘের পুকুর। ওপড়ে পড়েছে গাছপালা, বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ। এ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত করা হয়েছে ১৫৫টি সাইক্লোন শেল্টার ও ২০টি মুজিব কিল্লা সহ একাধিক টিকসই পাকা ভবন।
আবহাওয়া অফিস বলছে ক্ষণে ক্ষণে রুপ বদলাচ্ছে রিমাল। তবে আজ রোববার (২৬ মে) মধ্যরাতে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর হয়ে উপকূলের দিকে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়টি।
এ দিকে কলাপাড়া পৌর শহরে উচ্চ জোয়ারের পানি প্রবেশে আন্ধারমানিক নদী লাগোয়া দোকান ঘর তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে ব্যবসায়ীদের মালামাল।
লঞ্চঘাট এলাকার চা দোকানী পরান বাবু জানান, মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে তার দোকানের মালামাল এবং আসবাবপত্র জোয়ারের পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। আর ভেঙে গেছে দোকান ঘরের স্থাপনা। এছাড়া নাচনাপাড়া এলাকায় শতাধিক ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে। অপরদিকে শঙ্কায় রয়েছেন চম্মপাপুর এলাকার বাসীন্দারা।
ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল মৃধা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ দেবপুর বেরিবাঁধের ওপর থেকে পানি গড়িয়ে গ্রামে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। রাতে ফের জোয়ারের প্রভাব পড়লে বাঁধ ভেঙে পানি গ্রামের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এখনো পর্যন্ত বিভিন্ন ইউপির একাধিক আশ্রয় কেন্দ্রে ৬ হাজারেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। আমরা চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে আশ্রিত মানুষকে খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছি। এছাড়া যেখানে মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছে সেখানে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা চলছে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ